ছবি: সংগৃহীত।
হিল জুতো পরা নিয়েই নানা জনের নানা রকম মত। কোমর, পায়ের ক্ষতি হবে ভেবে অনেক মহিলাই হিল জুতো পরতে চান না। আবার পায়ের পাতায় কষ্ট হবে জেনেও ‘পেন্সিল’ হিল জুতো পরার শখ তো হয়! কিন্তু মুশকিল হল, সেই হিল জুতো পরে হাঁটা তো দূর, তার মধ্যে পা গলিয়ে দাঁড়াতে গেলেই সমানে মচকে যায়। এমন সমস্যার কথা শুনলে নিন্দকেরা অবশ্য পায়ের গঠন, দেহের ভারসাম্য কিংবা ওজন নিয়ে দু-চারটি জ্ঞানের বাণী শুনিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু গলদ যে জুতোর মধ্যেও থাকতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
চিকিৎসকেরা বলছেন, জুতোর কাজ পায়ের পাতায় আরাম দেওয়া। হাঁটাচলা বা দৌড়নোর ক্ষেত্রে আলাদা করে পায়ের যত্ন নেওয়া। কিন্তু যদি গোড়াতেই গলদ থাকে, সে ক্ষেত্রে জুতো পরার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়। উল্টে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে এই ধরনের সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। নতুন জুতো জোড়া তৈরির সময়ে সমস্যা (ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট) থাকলে সেটি পায়ের জন্য একেবারেই আরামদায়ক হবে না।
তবে এই সমস্যার সমাধান কিন্তু রয়েছে হাতের মুঠোয়। নতুন জুতো কেনার আগে দোকানে বসেই ‘শু রক টেস্ট’ করে দেখে নেওয়া যায়। তার জন্য দোকানের সব জুতোয় পা গলিয়ে দেখারও প্রয়োজন নেই। তা হলে কী করতে হবে?
‘শু রক টেস্ট’ কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে সমতল কোনও জায়গায় বা মেঝেতে জুতো জোড়া রাখুন। খেয়াল রাখবেন মেঝে যেন কোনও ভাবেই উঁচু-নিচু না হয়।
২) এ বার জুতোর উপরের দিকে সামান্য একটু নাড়িয়ে দেখুন জুতোটি দুলে উঠছে কি না। যদি তেমনটা হয় সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে পায়ের জন্য ওই পাদুকাটি সঠিক নয়।
৩) সামান্য দোলাতে যদি জুতো জোড়াকে হেলানো না যায় তা হলে ধরা নেওয়া যেতে পারে, সেই জুতোটি পায়ের ক্ষতি করবে না।
৪) হাতের ধাক্কায় গোটা জুতোর অবস্থান নড়ে যেতে পারে। কিন্তু জুতোর ভারসাম্য নষ্ট হবে না। তবে সব ধরনের জুতোয় কিন্তু এই পরীক্ষা করা যায় না। স্টিলেটো, ব্লক হিল বা পেন্সিল হিল ছাড়া অন্য ধরনের জুতোর ক্ষেত্রেই এই পরীক্ষা প্রযোজ্য নয়।