(বাঁদিকে) অভিনেতা শাহরুখ খান এবং (ডানদিকে) দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
হাসলে গালে টোল পড়ে! আর সেই টোল পড়া হাসির দিকেই মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে থাকেন। অভিনেতা শাহরুখ খান, প্রীতি জ়িন্টা, দীপিকা পাড়ুকোন বা আলিয়া ভট্ট তালিকায় এমন অনেকেই আছেন। এমনকি, বয়সের দিক থেকে প্রায় এক কুড়ি বছরের বড় পাশের বাড়ির বাবাইদা— তার গালে টোল পড়া হাসি দেখলেও চোখ আটকে যায়। যদিও অনেকেই বলেন, গালের টোল আসলে এক ধরনের সমস্যা। কিন্তু সেই সমস্যাকে অনেকেই যেচে আহ্বান জানাতে চান শুধুমাত্র সৌন্দর্যের জন্য। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, গাল বেঁকিয়ে, গালের নরম ভাঁজে পেন্সিলের খোঁচা দিয়ে কত না পন্থা আপন করে নিয়েছিলেন। কিন্তু গালে কিছুতেই টোল পড়েনি।
তবে সম্প্রতি গালে নকল টোল ফেলার বিশেষ একটি যন্ত্র সকলের নজরে এসেছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে রয়েছে নানা রকমের ভিডিয়ো। ক্লিপের মতো দেখতে ধাতব সেই যন্ত্রটির মুখে রয়েছে বলের মতো দুটি জিনিস। যার একটি প্রান্ত থাকে মুখের ভিতরে এবং অন্য প্রান্তটি বাইরে। গালের যে অংশে টোল ফেলতে চান, বেশ কিছু ক্ষণ জোরে চেপে রাখলে ওই জায়গায় গর্ত হয়ে যায়। হাসলে ওই অংশটিকে টোল বলে মনে হয়। তবে তা একেবারেই ক্ষণস্থায়ী।
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের পেশির গঠনের কারণেই তো গালে টোল পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তা জিনগত। তবে চাইলে কসমেটিক সার্জারি করে গালে টোল এনে দেওয়া যায়। রূপটানশিল্পীরা আবার বলছেন, শরীরকে এত কষ্ট দিয়ে লাভ নেই। মেকআপ প্রসাধনীর টানেই গালে টোল ফেলে দেওয়া যায়। খুঁটিয়ে না দেখলে তা আসল না নকল বোঝার উপায়ও থাকে না।