Cooking Tips

যতই বাড়িতে রাঁধা স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ৫ তেলে রান্না করলেই বিপদ!

পুষ্টিবিদেরা বলেছেন, শরীর ভাল রাখতে রান্নায় যে তেলই ব্যবহার করুন না কেন, তার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ২০:২৩
Five oils you should avoid while cooking

কোন তেলে রান্না করা বিপদের? ছবি: সংগৃহীত।

যত কমই হোক, বাঙালি রান্না তেল ছাড়া হবে না। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সেদ্ধ খাবার খেলেও তার মধ্যে তেলের ছোঁয়া থাকে। আবার স্যালাডের ড্রেসিংয়েও তেল ছড়িয়ে নেন অনেকে। তবে হার্ট ভাল রাখতে আজকাল সর্ষের তেল ছেড়ে অনেকেই অলিভ অয়েলে রান্না করে থাকেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেছেন, শরীর ভাল রাখতে রান্নায় যে তেলই ব্যবহার করুন না কেন, তার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম হয়। কারণ, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং শর্করা বাড়িয়ে তোলার পিছনে ওই দু’টি উপাদানের হাত আছে। সর্ষের তেল, অলিভ অয়েলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ কম। কিন্তু এমন অনেক তেলই রয়েছে, যেগুলি নিত্য দিনের রান্নায় ব্যবহার করা শরীরের জন্য আদৌ ভাল নয়।

Advertisement

১) পাম অয়েল:

পাম অয়েলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। প্রতি দিনের রান্নায় এই তেল ব্যবহার করলে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। রক্তে এই ফ্যাট বেড়ে গেলে তা ধমনীর দেওয়ালে জমতে শুরু করে। স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার না করাই ভাল।

২) নারকেল তেল:

দক্ষিণী রান্নায় নারকেল তেলের প্রভাব বেশি। তা দেখে মনে হতেই পারে, এই তেল খুব স্বাস্থ্যকর। তা কিন্তু একেবারেই নয়। কারণ, নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে লওরিক অ্যাসিড। যা রক্তে ভাল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলও বাড়িয়ে তোলে।

৩) সয়াবিন তেল:

সয়াবিনের তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যা হার্টে প্রদাহ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া সয়াবিনের তেলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাট রক্তে বেশি থাকাও কিন্তু সমস্যার।

Five oils you should avoid while cooking

প্রতি দিনের রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার করলে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

৪) কর্ন অয়েল:

সয়াবিনের মতো কর্ন বা ভুট্টার তেলেও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। হার্ট ভাল রাখতে চাইলে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে সমতা থাকা জরুরি। রক্তে ওমেগা-৬ বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা হতেই পারে।

৫) কার্পাস বীজের তেল:

দীর্ঘ দিন কার্পাস বীজের তেল বা কটনসিড অয়েলের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এই ট্রান্স ফ্যাট কিন্তু রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পিছনে দায়ী হল খারাপ কোলেস্টেরল।

Advertisement
আরও পড়ুন