বোটক্স করাবেন ভাবছেন? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স হলে ত্বকে বলিরেখা পড়বেই। চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। বয়সের ছাপ যাতে চট করে বোঝা না যায়, তার জন্য অনেকেই নামীদামি নানা প্রসাধনী মাখেন। তবে, ইদানীং রাসায়নিক নির্ভর চিকিৎসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মুখের খুঁত ঢাকতে, রেশমের মতো চুল পেতে অনেকেই বোটক্স করাচ্ছেন। পাতলা ঠোঁট পুরু করাতেও এই ট্রিটমেন্ট বেশ কার্যকর। হলিউড, বলিউডের তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— সকলেই এই চিকিৎসার শরণাপন্ন হচ্ছেন। তবে, এই চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল। খরচ করে যে এই চিকিৎসা করাবেন, তা কি জীবনভর এমন সুন্দর থাকবে?
পেশির ক্রমাগত সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে মুখে সূক্ষ্ম ভাঁজ পড়ে। দিনে দিনে তা-ই বলিরেখার আকার ধারণ করে। তা রুখতে ইঞ্জেকশনের সাহায্যে মুখে এক ধরনের নিউরোটক্সিক প্রোটিন প্রবেশ করানো হয়। ফলে মুখের পেশিগুলি অস্থায়ী ভাবে ‘প্যারালাইজ়ড’ হয়ে যায়। তাই চট করে বলিরেখা পড়ে না। তবে রূপচর্চাশিল্পীরা বলছেন, এই ধরনের চিকিৎসার প্রভাব বেশি দিন থাকে না। খুব বেশি হলে মাস ছয়েক। কার মুখে বোটক্সের প্রভাব কত দিন থাকবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের কোন অংশে চিকিৎসা করা হচ্ছে, তার উপর। বোটক্স করতে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। ব্যক্তির বয়স এবং ত্বকের ধরন বুঝে চিকিৎসক, রূপটান শিল্পীরা নির্ধারণ করেন রাসায়নিকের মান কেমন হবে।
যিনি মুখে বোটক্স করাচ্ছেন, তাঁর বয়স খুব বেশি হলে চিকিৎসার প্রভাব মাস তিনেকের বেশি না-ও থাকতে পারে। তবে, ত্বকে বোটক্সের প্রভাব কমে আসছে বলে বার বার ইঞ্জেকশন নেওয়া মোটেও ভাল নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, নেল এক্সটেনশন করানোর পর আসল নখ বড় হয়ে গেলে যেমন ফিলার্স ব্যবহার করা হয়, বোটক্সের প্রভাব কমে এলে তেমনটা করা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। তার ফলে হিতে বিপরীত হতেই পারে।