ঝাল কমবে কিসের গুণে? ছবি: সংগৃহীত।
জমিয়ে মটন কালাভুনা রান্না করলেন, কিন্তু খেতে গিয়ে সকলের প্রায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এতই ঝাল, যে খাবার মুখে দিতেই কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বেরোনোর অবস্থা! গরমমশলা, কাঁচালঙ্কা, গোলমরিচের পরিমাণটা বুঝতে না পেরেই যত গণ্ডগোল! বেশি ঝাল খাওয়া আবার শরীরের পক্ষে ভাল নয়। পেটের সমস্যা, বদহজম তো দেখা দেয়ই, এ ছাড়া কম বয়সে ত্বক বুড়িয়েও যেতে পারে। তাই বলে কি ১ কিলো পাঁঠার মাংস ফেলে দেবেন? মোটেই নয়। বুদ্ধি খরচ করলেই মিলবে সমাধান। রান্নায় এমন কিছু উপকরণ মিশিয়ে দিতে পারেন, যা পদটিতে ঝালের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। জেনে নিন, কী কী মেশালে রান্নাটি আবার সুস্বাদু হয়ে যাবে।
আলু: ঝোলজাতীয় কিছু রান্না করেছেন? আর সেটাই বেশি ঝাল হয়ে গেলে ঝোলে কয়েকটি সেদ্ধ আলুর টুকরো দিয়ে দেখতে পারেন। ঝাল অনেকটাই কমে যাবে। এই পদ্ধতি স্যুপের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন।
লেবু: রান্নায় ঝাল কমাতে কাজে লাগাতে পারেন পাতিলেবু। যে কোনও ধরনের তরকারি বা রান্না ঝাল হয়ে গেলে তাতে খানিকটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন। টক ভাব ঝাল কমতে কাজে আসে। বাড়িতে লেবু না থাকলে খানিকটা তেঁতুলের ক্বাথও মেশাতে পারেন।
টক দই: কাটলেট হোক বা কবাব, যদি বেশি ঝাল হয়ে যায়, তা হলে কী করবেন? হাতের কাছে টক দই থাকলেই হতে পারেন সমাধান। এমনিতেই টক দই হজমে সাহায্য করে। কাজেই ডিপ হিসেবে টক দই খেয়ে দেখুন, ঝাল লাগবে না।
ঘি বা মাখন: রান্নায় ঝাল বেশি হয়ে গেলে ঘি কিংবা মাখন মিশিয়ে ঝালের মাত্রা ঠিক করতে পারেন। ঘি কিংবা মাখন রান্নায় দিলে মশলার ঝাঁজ খানিকটা হলেও কমে।
বাদাম: মটন কোর্মা, চিকেন চাঁপ— এই সব পদ একটু মশলাদার না হলে ভাল লাগে না। কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেলে? যে কোনও গ্রেভিতে বেশি ঝাল হয়ে গেলে তাতে একটু কাজুবাদাম কিংবা চারমগজ বাটা মিশিয়ে দিন। ঝাল কমলেও স্বাদ কিন্তু বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।