শীতকালে হেনা করলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যাবে? ছবি: সংগৃহীত।
রাসায়নিক দেওয়া রং চুলের জন্য ভাল নয়। কিন্তু পাকা চুলে ভরা মাথা নিয়ে সর্বত্র যেতেও ভাল লাগে না। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে এক-দু’বার মাথায় হেনা মাখেন। সঙ্গে সামান্য কফি মিশিয়ে নিলে রং বেশ গাঢ় হয়। কিন্তু শীতকালে চুলে হেনা করার বড় সমস্যা হল রুক্ষতা।
এমনিতেই ঠান্ডায় বাতাসে আর্দ্রতার অভাব থাকে। তার মধ্যে মাথায় ঘণ্টা দুয়েক হেনা মেখে বসে থাকলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুলও খসখসে হয়ে যায়। ফলে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়, সারা ক্ষণ মাথা চুলকায়। এই কারণে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
এই কারণে হেনা করার পরই অনেকে মাথায় তেল মেখে নেন। রুক্ষ ভাব দূর করার জন্য শ্যাম্পু নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সচেতন হতে হয়। হেনার মিশ্রণে টক দই বা ডিম মিশিয়ে নিলে এই ধরনের সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, তার চেয়েও ভাল টোটকা হল অ্যালো ভেরার শাঁস বা জেল।
মাথার ত্বকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি দূর করতে অ্যালো ভেরার জেল দারুণ কাজের। হেনার রং গাঢ় করার জন্য অনেকেই তা লোহার পাত্রে রাতভর ভিজিয়ে রাখেন। তবে মাথায় মাখার আগে ওই মিশ্রণে ঈষদুষ্ণ জল এবং আধ চা চামচ লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে নিলে রং আরও সুন্দর হবে। তাতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতাও কমবে, আবার চুল রুক্ষও হবে না।
মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ কিংবা পরজীবীর আক্রমণ আটকাতে হেনার মিশ্রণে অনেকেই এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে নেন। চাইলে তার সঙ্গে সামান্য মেথি বীজের গুঁড়োও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই টোটকা মেনে মাথায় হেনা করলে চুলের রং সহজে ফিকে হবে না।