অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালের মতো শীতে মেকআপ গলে যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু কাজলের ক্ষেত্রে সব সময়ে সে নিয়ম খাটে না। এই কারণে দাম দিয়ে অনেকে ‘স্মাজপ্রুফ’ কাজল কেনেন। তবে রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে প্রবল শীতেও কাজল ধেবড়ে যেতে পারে। আবার, কাজল পরার ভুলেও কিন্তু একই রকম সমস্যা হতে পারে। তবে কয়েকটি টোটকা জানা থাকলে পেশাদার রূপটান শিল্পী না হয়েও সঠিক ভাবে কাজল পরা যায়।
কাজল পরার আগে এবং পরে কী কী করলে তা ঘাঁটবে না?
কাজল পরার আগে:
আগের দিনের কাজল পরা চোখে যদি আবার কাজল পেন্সিল ঘষেন, সে ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই কাজল পরার আগে সঠিক ভাবে চোখ পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে শুধু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে হবে না। ভাল মানের ক্লিনজ়ার এবং ওয়েট টিস্যু দিয়ে চোখের চারপাশ, ওয়াটারলাইন পরিষ্কার করে নিন। তার পর চোখের পাতায় এবং চারপাশে সামান্য অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন। সেই অর্থে মেকআপ করলে প্রাইমারের প্রয়োজন পড়ে। না হলে ময়েশ্চারাইজ়ারের উপর সাধারণ ট্যালকম বা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার মেখে নিন। অতিরিক্ত পাউডার ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন। তার পর কাজলের রেখা টেনে নিন।
কাজল নির্বাচন:
অনেকেই দোকানে গিয়ে ‘স্মাজপ্রুফ’ কাজল খোঁজেন। তবে রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, সেই অর্থে কোনও কাজলই স্মাজপ্রুফ নয়। তার চেয়ে বরং ‘ওয়াটারপ্রুফ’ কাজল কেনা ভাল। তোলার সময়ে একটু সতর্ক থাকলে এই ধরনের কাজল পরতে কোনও অসুবিধা হবে না। আর সহজে ঘাঁটবেও না।
সঠিক ভাবে পরতে হবে:
ভাল মানের কাজল কিনলেই হবে না। তা সঠিক ভাবে পরতেও জানতে হবে। চোখের গভীরতা বোঝানোর জন্য চোখে অতিরিক্ত কাজল ঘষার প্রয়োজন নেই। চোখ থেকে জল পড়ার প্রবণতা থাকলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।
আইশ্যাডোর ব্যবহার:
আইশ্যাডো সাধারণত চোখের পাতার উপরেই মাখা হয়। তবে রূপটান শিল্পীরা এই আইশ্যাডোকেই এ ক্ষেত্রে ‘হাতিয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করেন। কাজলের রেখা টানার পরে গাঢ় বা কালচে খয়েরি রঙের আইশ্যাডো বুলিয়ে নিলে ঘেঁটে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই রুখে দেওয়া যায়।