যুজবেন্দ্র চহালের সঙ্গে স্ত্রী ধনশ্রী। —ফাইল চিত্র।
চর্চার কেন্দ্রে এখন যুজবেন্দ্র চহাল এবং ধনশ্রী বর্মা। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা চলছে। এর মাঝেই তাঁরা একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছেন। যদিও পরিষ্কার করছেন না আদৌ তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে কি না। সম্পর্ক না থাকার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এ বার চহাল পোস্ট করলেন এক জন পুত্র, ভাই এবং বন্ধু হিসাবে। এক বারের জন্যেও উল্লেখ করলেন না স্বামী হিসাবে তাঁর কোনও কর্তব্যের কথা।
চহাল বৃহস্পতিবার পোস্ট করে লিখলেন, “আমার সমস্ত সমর্থকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের ভালবাসা এবং সাহায্য ছাড়া আমি এত দূর আসতে পারতাম না। কিন্তু এই যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। এখনও দেশ, দল এবং সমর্থকদের জন্য অনেক বল করা বাকি। ক্রিকেটার হিসাবে আমি যতটা গর্বিত, ততটাই গর্বিত পুত্র, ভাই এবং বন্ধু হিসাবে। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সকলের কৌতূহল বুঝতে পারছি। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু জিনিস লক্ষ্য করছি। সেগুলোর কিছু সত্যি হতে পারে আবার কিছু অসত্যও হতে পারে। কিন্তু এক জন পুত্র, ভাই এবং বন্ধু হিসাবে আমি আবেদন করছি এই সব জল্পনায় কান দেবেন না। এগুলো আমাকে এবং আমার পরিবারকে দুঃখ দিচ্ছে। পরিবার আমাকে শিখিয়েছে সকলের ভাল চাইতে। সাফল্য পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে। তারা আমাকে কখনও শর্টকাট নিতে শেখায়নি। আমি সেই শিক্ষা মেনে চলি।”
২০২২ সালে ধনশ্রীকে বিয়ে করেন চহাল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা তৈরি হয়েছে। চহাল সমাজমাধ্যম থেকে ধনশ্রীর সব ছবি মুছে দিয়েছেন। ধনশ্রী যদিও চহালের সঙ্গে এখনও অনেক ছবিই তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় রেখেছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এখন আর সম্পর্ক রয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
বুধবার ধনশ্রীর করা পোস্টে লেখা ছিল, “গত কয়েক দিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুব কঠিন ছিল। সব থেকে বিরক্তিকর বিষয় হল, সত্যতা যাচাই না করেই কিছু লোকের সমাজমাধ্যমে ভিত্তিহীন লেখা এবং আমাকে নিয়ে ভুল মন্তব্য করা, ঘৃণা ছড়ানো এবং ট্রোল করা।” তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার নাম, পরিচিতি সততার সঙ্গে গড়ে তোলার জন্য বছরের পর বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার নীরবতা দুর্বলতার লক্ষণ নয়, বরং এটা শক্তির পরিচয়। নেতিবাচকতা সমাজমাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, তবে অন্যদের উন্নতিতে সাহায্য করতে সাহস এবং সহানুভূতি লাগে।” ধনশ্রীর সংযোজন, “আমি সততায় বিশ্বাসী এবং আমার মূল্যবোধকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই। এক দিন না এক দিন সত্যি সামনে আসবেই, তখন কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”