খাই খাই করা বাতিক না অসুখ? ছবি: সংগৃহীত।
ঘড়ি ধরে যখন যা যা খাওয়ার কথা, সবটাই খাওয়ার চেষ্টা করেন। তার পরেও খিদে পায়। চোখের সামনে লোভনীয় কিছু দেখলে নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টাই জলে যাচ্ছে। খিদে পেলে তো সকলেই খেতে বলেন। পুষ্টিবিদেরাও বলেন, মেদ ঝরাতে গেলে নিয়ম করে বারে বারে খেতে হবে। ভরপেট খাওয়ার পরেও যদি খিদে পায়, তা হলে কী করবেন? পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষের বক্তব্য, “খিদে পেলে অবশ্যই খেতে হবে। কিন্তু কী খাবেন সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। খাবার খাওয়ার পরেও যদি খিদে পায় তা হলে খুঁজে দেখতে হবে তার নেপথ্যে কোন কোন কারণ লুকিয়ে রয়েছে।”
কী কী কারণে খিদে পেতে পারে?
১) চোখের খিদে:
ভরপেট খাওয়ার পরে হঠাৎ আইসক্রিম খাওয়ার ইচ্ছে হয় অনেকের। সিনেমা, সিরিজ় দেখতে দেখতেও টুকটুক করে মুখ চলে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, পেট ভরা থাকলেও চোখের সামনে লোভনীয় খাবার দেখলে কিংবা খাবারের গন্ধ পেলেও খিদে পেতে পারে।
২) অবসাদ:
মানসিক চাপ, উদ্বেগ কিংবা অবসাদও খাই খাই বাতিক বাড়িয়ে তোলে। ‘ফ্রন্টিয়ার ইন সাইকিয়াট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অবসাদ এবং উদ্বেগ থেকেও মুখরোচক, মশলাদার খাবার খেতে ইচ্ছে করতে পারে।
৩) অনিদ্রা:
ঘুমের সঙ্গে খাওয়ার যোগ রয়েছে। কম ঘুম হলে ঘন ঘন খিদে পেতে পারে। ‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাঁরা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন তাঁদের ঘন ঘন খিদে পায়।
এই সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা যায়?
১) প্রোটিন, ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। এই ধরনের খাবার ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
২) হাতের কাছে খাবার রাখা বন্ধ করে দিন। অনলাইনে খাবার অর্ডার করার পথ যদি বন্ধ করে দিতে পারেন তা হলে আরও ভাল হয়।
৩) ঘন ঘন খিদে পেলে স্বাস্থ্যকর, তরল পানীয় খাওয়া যেতে পারে। অন্য খাবার খেয়ে ওজন বৃদ্ধি করার চেয়ে তা অনেক নিরাপদ।