গুড়-জল খেয়ে দিন শুরু করবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খান। তবে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গুড়-জল খাওয়ার রেওয়াজ কিন্তু বহু পুরনো। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। ফলে, গুড় ক্যালোরির উৎস। এ ছাড়া গুড়ের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো নানা ধরনের খনিজও রয়েছে। পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষের মত, “কায়িক পরিশ্রম করতে গেলে অনেকটা পরিমাণ ক্যালোরি প্রয়োজন। দিনের শুরুতেই যদি এমন স্বাস্থ্যকর পানীয়ে চুমুক দেওয়া যায়, তা হলে দিনভর এনার্জি বজায় থাকে। সহজে ক্লান্তি গ্রাস করে না।”
খালি পেটে গুড়-জল খেলে আর কী কী হয়?
১) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়:
গুড় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভান্ডার। তাই শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখে। সকালে নিয়মিত এক গ্লাস জলে এক টুকরো গুড় মিশিয়ে খেলে সংক্রমণজনিত রোগব্যাধি দূরে থাকে।
২) শরীরে জমা টক্সিন দূর হয়:
কিডনি, লিভারে জমে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এই পানীয়। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে পারলে প্রদাহজনিত অনেক রোগই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
৩) হাড় মজবুত হয়:
গুড়ে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ রয়েছে। এই খনিজগুলি হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। হাড় মজবুত হলে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৪) শ্বাসযন্ত্র ভাল থাকে:
ঠান্ডায় শ্বাসযন্ত্রের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। গুড়ের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে অ্যাজ়মা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগে খানিকটা আরাম মেলে। পাশাপাশি, নিয়মিত গুড় খেলে ফুসফুসে জমা পুরনো কফ সহজেই বেরিয়ে আসে।
৫) শক্তির উৎস:
গুড়-জল খেলে শরীরে বল আসে। দিনের শুরুতে এই পানীয় খেয়ে শরীরচর্চা করলে ক্লান্তি বোধ হয় না। গুড়ের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, আয়রনও রয়েছে, যা শরীরে শক্তির জোগান দেওয়ার পাশাপাশি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।