ত্বকের যত্নে ‘সিটিএম’। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের যত্ন নিতে যা যা প্রসাধনী প্রয়োজন, কিনে ফেলেছেন। কিন্তু এত কিছু তো প্রতিদিন ব্যবহার করা যায় না। তাই যখন যেটা ইচ্ছা হয়, একটু মেখে ফেলেন। আবার মাঝে বেশ কিছু দিন মুখে ক্রিমটুকু মাখার কথাও মনে থাকে না। তার পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা নিয়ে চিন্তায় পড়েন। চিকিৎসকদের মতে, ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে হঠাৎ করে এক দিন নয়, চর্চা করতে হবে রুটিন মেনে। তার জন্য যে খুব বেশি কিছু করতে হবে, তা-ও নয়। দিনে অন্তত পক্ষে দু’বার ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং বা ‘সিটিএম’ করলেই যথেষ্ট। কী ভাবে করতে হয়?
ক্লিনজ়িং:
মুখের তেল-ময়লা, ধুলো-বালি পরিষ্কার করতে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে প্রথমে মুখ ধুয়ে নিতে হয়। মেকআপ করার অভ্যাস থাকলে অবশ্য আলাদা কথা। শুধু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে কিন্তু পুরো মেকআপ উঠবে না। সে ক্ষেত্রে অয়েল বেস্ড ক্লিনজ়ার ব্যবহার করাই ভাল। ত্বকের ধরন বুঝে ভাল মানের কোনও একটি ক্লিনজ়ার কিনতেই পারেন। শুধু দেখে নিতে হবে, তা যেন ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট না করে।
টোনিং:
ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে দারুণ কাজ করে টোনার। মুখ ধোয়ার পর টোনার স্প্রে করলে ওপেন পোর্সের সমস্যাও দূর হয়। যত বারই মুখ ধোবেন, তত বারই তুলোয় সামান্য পরিমাণ টোনার নিয়ে গোটা মুখে মেখে নিতে পারেন। চাইলে গোলাপ জলও ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজ়িং:
তৈলাক্ত ত্বকে অনেকেই ক্রিম মাখতে চান না। তবে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে যেমন টোনার গুরুত্বপূর্ণ, তেমন ময়েশ্চারাইজ়ারেরও ভূমিকা রয়েছে। খুব তেলতেলে ক্রিম না কিনে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নিতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ়ার কিনতে পারলে।