নাভিতে তেল দেবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের সঙ্গে নাভির সম্পর্ক গভীর। শুধু গর্ভস্থ শিশুই নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই পেটের কোনও সমস্যা হলে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে নাভিতে তেল-জল মালিশ করতে বলা হয়। নাভিতে তেল মালিশ করা অতি প্রাচীন এক উপশম-পন্থা। পেটের এই অংশটি আসলে শরীরের নানা রক্তবাহের সঙ্গে যুক্ত। নাভিতে সাধারণত নারকেল তেলই দেওয়া হয়। অনেকে আবার ঘি কিংবা কাঠবাদামের তেলও ব্যবহার করেন। কিন্তু, নাভিতে তেল মালিশ করলে কী কী উপকার মেলে?
১) নাভিতে তেল দিলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমে। তেল শরীরের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুর কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এই অভ্যাস। অনেকেই জানেন, নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের যোগ রয়েছে। তাই নাভির চারপাশ তেল দিয়ে মালিশ করলেও রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
৩) প্রতি মাসে ঋতুচক্র চলাকালীন যে শারীরিক কষ্ট হয়, তা নিরাময় করতে সাহায্য করে। পেটের পেশির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এই অভ্যাস।
৪) খাবার সহজে হজম হতে চায় না? সারা বছরই পেটের গোলমাল লেগে থাকে? নাভিতে নিয়মিত তেল দিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। অন্ত্র ভাল থাকলে ৮০টিরও বেশি রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) প্রচলিত ধারণা বলছে, নাভিতে তেল দিলে রাতে ঘুম ভাল হয়। আসলে নাভিতে তেল দেওয়ার এই অভ্যাস কর্টিজ়ল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই অনিদ্রাজনিত সমস্যা অনেকটা বশে থাকে।
কী ভাবে করতে হবে তেল মালিশ?
মিনিটখানেকের কাজ। হাতে কিছুটা তেল নিয়ে নাভির উপরে দিন। তার পরে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ধীরে ধীরে হাত বোলান নাভির চারধারে। কখনও ঘড়ির কাঁটার দিকে, কখনও বিপরীতে। যত ক্ষণ না তেল মিশে যাচ্ছে ত্বকের সঙ্গে, তত ক্ষণ মালিশ করুন। সম্ভব হলে নিজে চিত হয়ে শুয়ে অন্য কাউকে মালিশ করে দিতে বলুন।
তবে মনে রাখতে হবে, বিষয়টি নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানে তেমন কোনও গবেষণা নেই। বিষয়টিকে মূলধারার চিকিৎসা পদ্ধতি না ভেবে ভাল থাকার জন্য ঘরোয়া একটি উপায় ভাবাই ভাল।