নিজের অণ্ডকোষ পরীক্ষা করেন? ছবি: সংগৃহীত।
মহিলাদের স্তন, ডিম্বাশয় কিংবা জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে যত আলোচনা হয়, পুরুষদের অণ্ডকোষের ক্যানসার নিয়ে কিন্তু তত চর্চা হয় না। অনেকেরই ধারণা, অণ্ডকোষের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বোধ হয় বয়স্কদেরই বেশি। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, মধ্যবয়সে অণ্ডকোষের ক্যানসার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ঠিকই। তবে, তরুণদের মধ্যেও কিন্তু এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সচেতনতার অভাব, লোকলজ্জার ভয়ে তা অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অন্ডকোষের ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক কোনও লক্ষণ আছে?
প্রথম এবং মূল যে লক্ষণ, সেটি হল— অন্ডকোষের আকারে পরিবর্তন। অন্ডকোষের কোনও অংশ যদি হঠাৎ করে ফুলে ওঠে বা ভারী অনুভূত হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ফোলা অংশে সাধারণত ব্যথা-বেদনা হয় না। তাই চট করে বুঝতেও পারেন না অনেকে। এই রোগ প্রতিরোধ করতে গেলে সচেতনতা জরুরি। মহিলাদের স্তনের মতোই পুরুষেরা কিন্তু নিজেই নিজের অণ্ডকোষ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
কী ভাবে এই পরীক্ষা করবেন?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তন পরীক্ষা করার মতোই পুরুষেরা অণ্ডকোষ পরীক্ষা করতে পারেন। প্রথমে, অণ্ডকোষের আকার স্বাভাবিক রয়েছে কি না, তা দেখে নিন। তার পর হাতের তালু এবং কয়েকটি আঙুলের সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করুন, টিউমারজাতীয় কোনও ফোলা ভাব রয়েছে কি না। কোনও রকম সংক্রমণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।
নিরাময়ের উপায় কী?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে পরীক্ষা তো করাই যায়। কিন্তু সাধারণ ভাবে চোখে যদি ধরা না পড়ে, সে ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় এবং নিরাময়ের প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। তাই একটা বয়সের পর পুরুষদেরও নিয়মিত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো জরুরি। যত তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করা যাবে, তত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে। দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা হলে অণ্ডকোষের ক্যানসারও প্রতিরোধ করা সম্ভব।