ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই মুখে সারা ক্ষণ তেলতেলে ভাব থাকে। কিন্তু, বর্ষার ভ্যাপসা গরমও কম নয়। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি মনোভাবের প্রভাব ত্বকেরও যথেষ্ট ক্ষতি করে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় তৈলাক্ত ত্বক হলে। সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ কিছুতেই বশে রাখা যায় না। এই অতিরিক্ত তেল ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রে জমলে সেখানে ব্রণের আধিক্য দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই বাজারজাত প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখেন। তবে রূপটান শিল্পীরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ঘরোয়া কিছু টোটকার উপরেও ভরসা রাখা যেতে পারে।
১) কমলালেবু
ভিটামিন সি ত্বকের জন্য ভাল। রাসায়নক দেওয়া ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম বা ক্রিম না মেখে কমলালেবুর রস মাখতে পারেন। কমলালেবুতে স্বাভাবিক ভাবেই যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে রস বার করে নিন। এ বার সেই রস মুখে মেখে রাখুন। মিনিট পনেরো ওই ভাবে রেখে দিন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) অ্যালো ভেরা
দোকান থেকে অ্যালো ভেরা জেল কিনতে পারেন। আবার, না হলে গাছ থেকে পাতা কেটে শাঁস বার করে নিতে পারেন। এই জেল মেখে ঘণ্টাখানেক রেখে দিতে পারেন। তার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই ভেষজ। ফলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে।
৩) দুধ
ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগছোপ তুলতে মুখে কাঁচা দুধ মাখেন অনেকেই। কিন্তু রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব কাটাতে কাঁচা দুধ মাখা যায়। কাঁচা দুধ মাখার পর অন্তত মিনিট পনেরো অপেক্ষা করতে হবে। তার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার মুখে কাঁচা দুধ মাখা যেতে পারে।
৪) নিমপাতা
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা মোকাবিলায় নিম অব্যর্থ। নিমপাতা ফোটানো জল ঠান্ডা করে, স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে পারেন। মাথার ত্বক হোক বা মুখ— যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে নিম। ত্বকের সেবাম ক্ষরণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫) মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি চুল এবং ত্বক, দুইয়ের জন্যেই ভাল। ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে পারে। ছোট একটি পাত্রে এক চা চামচ মুলতানি মাটি গোলাপজল দিয়ে ভাল করে গুলে নিন। মুখে, গলায় এই মিশ্রণ মেখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।