Amitabh Bachchan Fitness

২৪ বছর ধরে অমিতাভকে ফিট রাখার দায়িত্ব এই দম্পতির কাঁধে, উল্টে তাঁরা কী শিখলেন বিগ বি-র কাছে?

অমিতাভ বচ্চন থেকে রণবীর কপূর, বলিউডের বড় মুখদের ফিটনেস প্রশিক্ষক এই দম্পতি। ২৪ বছর ধরে বিগ বি-কে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৯
Celebrity fitness trainer couple, Vrinda Bhatt and Shivoham have opened up about working with actor Amitabh Bachchan

ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বয়স ৮০ ছুঁয়েছে। কিন্তু ভাল কাজের খিদে এখনও অটুট। প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাঙছেন। পর্দায় বিভিন্ন রকম চরিত্র হয়ে উঠতে এখনও শারীরিক কসরত করেন অমিতাভ বচ্চন। সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন এবং দক্ষিণী অভিনেতা প্রভাসের সঙ্গে হিন্দি ছবি ‘কল্কি ২৮৯৮’তে দেখা গিয়েছে বিগ বি-কে। তাতে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্য যে দাপটের সঙ্গে করেছেন তিনি, তাতে চমকে গিয়েছেন দদর্শকেরা। কিন্তু এই বয়সেও এত ফিট থাকার রহস্য কী? বচ্চনের ফিটনেসের রহস্য ফাঁস করলেন বৃন্দা ভট্ট এবং শিবোহম নামে দুই ফিটনেস-ট্রেনার। গত ২৪ বছর ধরে তাঁদের তত্ত্বাবধানেই শরীরচর্চা করেন বচ্চন। মায়ানগরীর বড় বড় সেলেবের ফিটনেস ট্রেনার এই দম্পতি সম্প্রতি বিগ-বি কে নিয়ে তাঁদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে বৃন্দা জানিয়েছেন, কেন এবং কোথায় বিগ বি অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাঁর কথায়, “অনেকে বলেন, ‘সময় নেই বলে শরীরচর্চা করতে পারি না।’ কিন্তু হাজার কাজ থাকলেও অমিতাভ বচ্চন ঠিক সময় বার করে নেন। ভাল কিছু যদি এক বার ওঁর মাথায় ঢুকে যায়, তা হলে ওঁকে থামানোই মুশকিল।”

Advertisement

অমিতাভকে এই বয়সেও শরীরচর্চার পাঠ দেন ফিটনেস প্রশিক্ষক দম্পতি। বদলে বিগ বি-র কাছ থেকে তাঁরা কী শিখেছেন? নিয়মানুবর্তিতা এবং সময়জ্ঞান। এই দু’টি গুণের জন্য অমিতাভ এখনও এখনও এক নম্বরে। জবাব ওই দম্পতির।

বৃন্দা জানিয়েছেন, সাধারণত সকাল ৬টা থেকে শরীরচর্চা শুরু করেন অমিতাভ। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটা ৬টা থেকে ৬টা বেজে ১ মিনিট হয়নি! বরং কোনও কারণে কোনও দিন প্রশিক্ষণে আসতে না পারলে আগে থেকে জানিয়ে দিতেন বচ্চন। কোনও কাজ থেকে ফিরতে দেরি হলেও অনেক আগে থেকে খবর দিয়ে দেন। বৃন্দা ও শিবোহম জানিয়েছেন, অমিতাভের কাছ থেকে তাঁরা সময়ের মূল্য বুঝতে শিখেছেন।

প্রতি দিনের ব্যস্ততার মাঝেও শরীরচর্চা করার সময় বার করবেন কী করে?

১) যে কোনও কাজের আগেই পরিকল্পনা করে রাখা ভাল। সারা দিন কোথায় কতটা সময় ব্যয় করবেন, সেই সম্বন্ধে আগে থেকে ধারণা করে রাখলে শরীরচর্চা করার সময় বার করতে সুবিধা হবে।

২) মনের কষ্টে শরীরচর্চা না করে উপভোগ করা শিখতে হবে। শরীরচর্চার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। সাইক্লিং, যোগাসন, সাঁতার, দৌড়— যাঁর যা ইচ্ছে, সেই ভাবে শরীরচর্চা করুন। মনের আনন্দে শরীরচর্চা করলে রুটিনে ছেদ পড়ার আশঙ্কা কম।

৩) একা একা শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে না-ই করতে পারে। যদি সম্ভব হয়, বন্ধু বা পরিচিত কারও সঙ্গে কসরত করুন। তাতে একঘেয়েমি কাটবে। সমমনস্ক কারও সঙ্গে শরীরচর্চা নিয়ে কথা বলতে পারেন। তাতে শারীরিক এবং মানসিক— উভয় দিকই উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement