ত্বকের জন্য ঠিক কী ভাবে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ব্যবহার হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যে উপাদানটির নাম প্রথমেই আসে তা হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই উপাদানটিই ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা নেয়। ত্বকের কোষকে সজীবও রাখে আবার প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, সে নিয়েই চর্চা হচ্ছে। রোজের কিছু খাবার, সাপ্লিমেন্ট থেকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন প্রসাধনীতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে এখন।
‘দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, টান টান কোমল, দাগছোপহীন মসৃণ ত্বক পেতে হলে সঠিক রূপচর্চা এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতেই হবে। শরীরে যখন টক্সিন বা দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন তার রেশ পড়ে ত্বকেও। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টই তখন টক্সিন থেকে শরীরকে বাঁচাতে পারে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সাপ্লিমেন্ট থেকে বা বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়ার থেকে সুষম খাবার থেকে যদি এর চাহিদা পূরণ করা যায়, তা হলে সবচেয়ে ভাল হয়।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কী কী খাবেন?
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিনে ভরপুর ফল, যেমন কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, আপেল, আনারস, ড্রাগনফ্রুট, পেঁপে, তরমুজ, বেরি জাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
সব্জির মধ্যে রয়েছে টম্যাটো, বেগুন, গাজর, ব্রকোলি, পালংশাক,বিট।
গ্রিন টিতেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তবে খালি পেটে গ্রিন টি খাবেন না। যে কোনও দু’টি মিলের মাঝে খাওয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন রকম দানাশস্য, যেমন ওট্স, কিনোয়া, ডালিয়া, বাদাম ও বীজেও থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ডার্ক চকোলেটও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস।
কী মাখবেন?
কেবল খেলেই হবে না, রূপচর্চাতেও জরুরি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই উপাদান সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায়, ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে ত্বকে। কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে ও এই উপাদান আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের বয়স ধরে রাখা যায়।
গাজরে যে হেতু প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, তাই ফেস-প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গাজর। গাজর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে ভাল করে বেটে নিতে হবে। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে, গলায় ও দুই হাতের ত্বকে লাগালে সহজে বলিরেখা পড়বে না।
কোকো পাউডারেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ত্বকের জন্য এক চা চামচ কোকো পাউডারের সঙ্গে এক চা চামচ মধু, এক চামচ ওট্মিল এবং পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। মুখে ও গলায় এই প্যাক লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে ত্বকের সব দাগছোপ উঠে যাবে। ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যও কমবে।