নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স।
রবিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জেতার পর কোর্টে সাক্ষাৎকার দেননি নোভাক জোকোভিচ। পরে এক ভিডিয়োয় জানান, অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের একটি মন্তব্যের জেরেই সাক্ষাৎকার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চাপে পড়ে সেই সাংবাদিক টনি জোন্স ক্ষমা চাইলেন। সোমবার টিভিতে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে এসে প্রকাশ্যে জোকোভিচ এবং সার্বিয়ার সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
সোমবার জোন্স বলেছেন, “আমি ধরে নিয়েছিলাম এটা একটা মজা, যা আমি প্রায়শই করে থাকি। তবে বলার পরে জানতে পারি জোকোভিচের শিবির আমার ওই মন্তব্যে খুশি নয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে জোকোভিচের শিবিরে যোগাযোগ করে ওদের কাছে ক্ষমা চাই। এ বার প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এটাও জানি যে সার্বিয়ার সমর্থকদের হতাশ করেছি। এমন নয় যে সমস্যা এড়াতে এই কাজ করছি। আমি মন থেকে সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।”
সম্প্রচারকারী চ্যানেল নাইনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নোভাক এবং তাঁর সমর্থকদের আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। মেলবোর্নে পার্কে জোকোভিচের আরও কীর্তি দেখানোর জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি।” টেনিস অস্ট্রেলিয়াও একটি বিবৃতি দিয়েছে। লিখেছে, “প্রকাশ্যে যে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে তা মেনে নিয়েছে নোভাক। আপাতত পরের ম্যাচের প্রতি মনঃসংযোগ করছে ও।”
হার্ড কোর্টে আজ পর্যন্ত জোকোভিচকে হারাতে পারেননি আলকারাজ়। সেই হিসাবে উল্টে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামবেন মঙ্গলবার। মুখোমুখি সাক্ষাতে জোকোভিচের থেকে ৩-৪ পিছিয়ে রয়েছেন আলকারাজ়। তবে হার্ড কোর্টে দু’টি ম্যাচেই হেরেছেন তিনি। তার মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ ২০২৩ সালের সিনসিনাটি ওপেনে। সে বার চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট বাঁচিয়ে আলকারাজ়কে তিন ঘণ্টা ৪৯ মিনিটের লড়াইয়ে হারিয়েছিলেন জোকোভিচ। এখনও পর্যন্ত সেটিই এটিপি মাস্টার্সের দীর্ঘতম ম্যাচ।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই প্রথম সেমিফাইনালের আগে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই প্রতিযোগী। গ্র্যান্ড স্ল্যামে এই প্রথম হার্ড কোর্টে লড়াই। গত বছর দু’বার লড়াই হয়েছিল এই দুই খেলোয়াড়ের। উইম্বলডন ফাইনালে জোকোভিচকে স্ট্রেট সেটে হারান আলকারাজ়। জোকোভিচ অলিম্পিক্স ফাইনালে হারিয়ে বদলা নেন।
আলকারাজ় সম্পর্কে জোকোভিচ বলেছেন, “দারুণ একটা ম্যাচের আশা করছি। অতীতে বেশির ভাগই তাই হয়েছে। তবে দু’-একটা একপেশে ম্যাচও হয়েছে। যেমন গত বারের উইম্বলডন ফাইনাল। কোর্টে শাসন করেছে ও। এ ছাড়া লম্বা লড়াই হয়েছে আমাদের। নাদালের কথা মনে পড়িয়ে দেয় আলকারাজ়।”
আলকারাজ় বলেছেন, “প্রত্যেকের কোনও না কোনও দুর্বলতা রয়েছে। তবে জোকোভিচের একটা-দুটো বিষয় বাদে কোনও কিছুতে দুর্বলতা নেই। আমি জানি কোন কোর্টে আমাকে কেমন খেলতে হবে। এই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে হার্ড কোর্টে খেলতে নামছি। দেখা যাক কী হয়।”