— প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের দিন মঞ্চে উঠে দাদার প্রসঙ্গে দু’-একটি কথা বলতে অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁর ভাইকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছেলেবেলার অনেক কথাই উঠে এসেছিল ভাইয়ের বক্তব্যে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ সেই মঞ্চ থেকেই তিনি তাঁর দীর্ঘ দিনের বান্ধবীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। বর-কনের দিক থেকে আমন্ত্রিত সকলের নজর তখন বরের ভাইয়ের দিকে। আর সেই ঘটনার জেরেই ভাইকে নিজের সংস্থা থেকে বরখাস্ত করলেন দাদা।
পারিবারিক ব্যবসায় দাদা, ভাই একসঙ্গে কাজ করবেন। তা এক দিক থেকে যেমন সুখের, তেমন অন্য আরও অনেক কারণেই দুশ্চিন্তার। কারণ, ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রভাব গিয়ে পড়ে পেশার উপর। দুই ভাইয়ের সম্পর্ক যদি ভাল না হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যবসায় একে অপরকে সাহায্য করার ইচ্ছে বা অভিপ্রায়টুকুও থাকে না। বিয়ের দিন এমন একটি কাণ্ড যে নিজের ভাই ঘটাতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই ব্যক্তি। হবু কনের বাড়িতে তাঁদের পরিচিত, আত্মীয়স্বজনের সামনে নিজের বান্ধবীকে প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার মতো অপরাধকে কোনও মতেই তুচ্ছ করে দেখতে পারছেন না তিনি।
অপমানিত দাদা তাঁর ক্ষোভ উগরে দেওয়া জন্য সমাজমাধ্যমকেই বেছে নিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আমাদের পারিবারিক ব্যবসা। বছর তিনেক আগে আমিই ভাইকে সেই সংস্থায় কাজ করার অনুমতি দিই। কারণ অতিমারির সময়ে ভাই চাকরি হারায়। এই ক’দিনেই সে এমন ভাব করছে যেন, এই সংস্থাটি তার নিজের। নিজের বিয়ের সমস্ত দায়-দায়িত্ব আমিই ভাইয়ের উপর দিয়েছিলাম। আমার সম্পর্কে নানা কথা বলার পরিকল্পনাও তাঁরই ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা যে আদৌ আমার জন্য নয়, তা বুঝতেই পারিনি। ভাই তার বান্ধবীকে প্রেমপ্রস্তাব দেওয়া মাত্রই গোটা বিয়েবাড়ির সমস্ত জৌলুস তখন তার দিকে। নতুন কনেকে ছেড়ে বাড়ির সকলেই তখন বাড়ির হবু ছোটবউকে দেখতে ব্যস্ত। এই ঘটনা আমার এবং আমার স্ত্রীর পক্ষে যথেষ্ট অপমানজনক। তাই ভাইকে আমার ব্যবসা থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিই।”