Honey and Cough

কাশির দাপট কমাতে শিশুর মুখে মধু দেন? এমন অভ্যাসে কি অজান্তেই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে সন্তানের?

মধুর মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়া শিশুর অন্ত্রে বিষক্রিয়া ঘটায়, সেখান থেকেই শিশুর স্নায়ু, মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড সংক্রামিত হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ১১:৫২
Image of Baby.

— প্রতীকী চিত্র।

সর্দি-কাশি সারাতে ঘরোয়া পথ্য হিসাবে মধু-তুলসীপাতার রস খাওয়ানোর চল নতুন নয়। তবে এক বছরের কম বয়স হলে অনেক অভিভাবকই বাচ্চাদের কাশি কমাতে শুধু মধু খাওয়ান। তাতে কাশির দাপট কমে, কিন্তু তা সাময়িক। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কাশির ঘরোয়া টোটকা হিসাবে মধু তুলনায় এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে কাজ করলেও সদ্যোজাত বা যাদের বয়স এক বছরের কম, তাদের খাওয়ানো একেবারেই অনুচিত।

Advertisement

কাশি কমাতে মধু কাজ করলেও মধুর মধ্যে যে ব্যাক্টেরিয়া থাকে, তা শিশুদের শরীরে গিয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন কিছু গবেষক। চিকিৎসার পরিভাষায় যা ‘ইনফ্যান্ট বটুলিজ়ম’ নামে পরিচিত। ব্রিটেন সরকারের তরফে দেওয়া এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মধুর মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়া শিশুর অন্ত্রে বিষক্রিয়া ঘটায়। সেখান থেকেই শিশুর স্নায়ু, মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড সংক্রামিত হতে পারে। এই সংক্রমণ কারও ক্ষেত্রে এমন সাংঘাতিক আকার ধারণ করে যে, তা থেকে শিশুরা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। না হলে সেখান থেকে শিশুদের দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও হতে পারে। যদিও বটুলিজ়মে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবুও মধু খাওয়ানোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই যদি শিশুদের পেশির দুর্বলতা দেখা যায়, খাবার গিলতে অসুবিধা হয়, অল্পতেই হাঁপিয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন চিকিৎসকেরা।

অনেকের মতে, মধুর গরম করলে তার ব্যাক্টেরিয়াগুলি নষ্ট হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে শিশুর কোনও রান্নায় মধু দেওয়া যেতেই পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। মধুর যে ব্যাক্টেরিয়া শিশুদের ক্ষতি করে, সেই ধরনের ব্যক্টেরিয়া গরম করলেও মরে না। ফলে শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন