Arrest

জাল আধার চক্রের হদিস! উদ্ধার প্রচুর নথি ও আধার তৈরির যন্ত্র, মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ৩

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের ইসমাইল শেখ, মনোজকুমার মণ্ডল, আকবর হোসেন। আধার কার্ড বানানোর জন্য তাঁরা কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। জেরায় তাঁরা কবুল করেছেন, বেআইনি ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা এই কাজ করছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৭

— প্রতীকী চিত্র।

মোটা টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরির একটি চক্রের তিন জন গ্রেফতার। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদে সুতি থানা এলাকায় একটি ঘরে হানা দিয়ে প্রচুর আধার কার্ড, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, আঙুলের ছাপ স্ক্যান করার যন্ত্র, চোখের মণি স্ক্যান করার যন্ত্র, কি-প্যাড, মাউস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর নথি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের ইসমাইল শেখ, মনোজকুমার মণ্ডল, আকবর হোসেন। আধার কার্ড বানানোর জন্য তাঁরা কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। জেরায় তাঁরা কবুল করেছেন, বেআইনি ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা এই কাজ করছিলেন। চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে তাঁরা খদ্দের জোগাড় করতেন। কোনও বৈধ নথি ছাড়া আধার কার্ড তৈরি করার নাম করে মোটা টাকা দাবি করা হত। কী ভাবে চলত জালিয়াতি? তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত আধারকেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ইউজ়ার আইডি ও পাসওয়ার্ড জোগাড় করত এই চক্র। পরবর্তী কালে সেগুলি ব্যবহার করে তারা সরকারি আধার সার্ভারে ঢুকে পড়ত। এর পর একের পর এক ভুয়ো নথি আপলোড করে আধার তৈরি করত ওই চক্র। ধৃত ব্যক্তিরা প্রতিটি আধার কার্ড বানাতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা চাইতেন।

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ওই অনলাইন সেন্টারে কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন বলে তথ্য মিলেছিল। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এরা টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরি করে দিতেন। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা।’’

Advertisement
আরও পড়ুন