Arrest

একই অভিযোগে পঞ্চমবার ধৃত কুখ্যাত আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি, নদিয়ায় হদিস মিলল অস্ত্র কারখানার

কী ভাবে চলল এই অপারেশন ? পুলিশ জানিয়েছে, অপারেশনের ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি করে জেলার পদস্থ পুলিশকর্তাদের নিয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিশকর্মীরা অভিযুক্তের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলেন। এর পর অভিযুক্তের ঘরের ভিতর তল্লাশি চালানো হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪০

— প্রতীকী চিত্র।

২০১২, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০২০-এর পর ফের ২০২৪। বাড়িতেই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা চালানোর অভিযোগে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে ধৃত কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী। নবদ্বীপের মহিশুরা পঞ্চায়েতের মাঝেরচড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সানজুর শেখ। তাঁর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবর জানান কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের দাবি, শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নবদ্বীপের মহিশুরার মাঝেরচড়ার বাসিন্দা সানজুর শেখের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তার ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বেশ কিছু উপকরণ উদ্ধার হয়েছে। যদিও পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত প্রথমে গা-ঢাকা দেয়। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে থাকে। অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।

কী ভাবে চলল এই অপারেশন ? পুলিশ জানিয়েছে, অপারেশনের ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি করে জেলার পদস্থ পুলিশকর্তাদের নিয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিশকর্মীরা অভিযুক্তের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলেন। এর পর অভিযুক্তের ঘরের ভিতর তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির সময় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। এর আগেও ২০১২, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০২০ সালে সানজুর একই অভিযোগে ধরা পড়েছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) বলেন, ‘‘আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহিশুরা পঞ্চায়েতের মাঝেরচড়ার সানজুর শেখকে গ্রেফতার করেছি। জোড়া না লাগানো অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। সানজুর কিছু সময়ের জন্য গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করলেও অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এর আগেও তিন বার নবদ্বীপ থানা ও পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। যে সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে, তা মূলত দেশি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার হত। তিনি কোথা থেকে এ সব আনতেন, কাকে সরবরাহ করতেন, সে সব আমরা খতিয়ে দেখছি। এরপর অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে আরও কিছু জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।’’

Advertisement
আরও পড়ুন