গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ভোটের তেলঙ্গানায় এ বার সংঘাতে ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং কংগ্রেস নেতা তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ভোটের প্রচারে গিয়ে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংসদ আজহারউদ্দিনকে ‘প্যারাস্যুটে নেমে আসা নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বুধবার তার জবাব দিয়েছেন আজহার। ‘মিম’কে ‘ভোট কাটার দল’ বলে খোঁচা দিয়ে তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসকে হারিয়ে বিআরএস এবং বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই বেছে বেছে প্রার্থী দিয়েছেন ওয়েইসি।
তেলঙ্গানায় সংখ্যালঘু ভোট কেটে ওয়েইসি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন বলে চলতি মাসের গোড়াতেই অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। হায়দরাবাদের সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘যে আসনগুলিতে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি লড়াই করার মতো পরিস্থিতিতে আছে, বেছে বেছে সেখানেই প্রার্থী দিয়েছে মিম।’’ এর পরেই দুই দলে চাপানউতর শুরু হয়েছে। এ বার সেই বাগ্যুদ্ধে শামিল হলেন আজহার।
তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের বাসিন্দা আজহার প্রায় দু’দশক আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে দু’বার লোকসভা ভোটেও লড়েছেন একদা জনপ্রিয় ডান হাতি ব্যাটসম্যান। ২০০৯ সালে জিতেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ লোকসভা আসনে। কিন্তু তার পাঁচ বছর পর, ২০১৪-য় হেরে যান রাজস্থানের টঙ্ক-সওয়াই মাধোপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ২০১৮ সালে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আজহারউদ্দিনকে।
জল্পনা ছিল, সে বছরের বিধানসভা ভোটে হায়দরাবাদ থেকে লড়বেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ২০১৯ সালে হায়দরাবাদ বা সেকেন্দরাবাদ আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা ছিল। কিন্তু সে বার ভোটে লড়েননি তিনি। এ বার হায়দরাবাদ লাগোয়া সেকেন্দরাবাদের জুবিলি হিল্স আসনে ‘হাত’ চিহ্নের প্রার্থী আজহার। জল্পনা রয়েছে, বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জিতলে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে।