ভারতীয় ডাকঘর। —ফাইল চিত্র।
ঋণের সুদ বিপুল চড়লেও স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সেই হার তাল মিলিয়ে বাড়েনি বলে অভিযোগ দেশ জুড়ে। বহু মানুষ ক্ষুব্ধ পিপিএফের সুদ বছর চারেক ধরে ৭.১% থাকাতেও। বলা হচ্ছে বেশি রোজগারের তাগিদেই চিরাচরিত প্রকল্পগুলির থেকে পুঁজি সরছে শেয়ার ও ফান্ডে। তবে সূত্রের খবর, তার পরেও ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে (পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও সিকিম) স্বল্প সঞ্চয়ে লগ্নি বেড়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি, কিসানবিকাশ পত্র (কেভিপি), ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি), সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিম (এসসিএসএস), মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প (এমআইএস) ইত্যাদি। এপ্রিল-অক্টোবরে এনএসসি, এমআইএস, স্থায়ী আমানত, কেভিপি-তে লগ্নির নিরিখে দেশে শীর্ষে এই সার্কল। পিপিএফ বা সুকন্যা সমৃদ্ধিতে চতুর্থ।ভারতে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলেছেপ্রায় ২.৯ লক্ষ, এই সার্কলে তা ১৩,১৯৩টি। সুকন্যা সমৃদ্ধিতে দেশের ১৬.৬৫ লক্ষের মধ্যে প্রায় ১.২২ লক্ষ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল সূত্র বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসের পরিসংখ্যানে ইঙ্গিত গোটা বছরে স্বল্প সঞ্চয়ে লগ্নি সাম্প্রতিক সব বছরকে টপকাতে পারে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই সার্কলে সবক’টি প্রকল্প মিলিয়ে নিট লগ্নি হয়েছিল ১.২১ লক্ষ কোটি টাকা। তা গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) প্রায় ১৬% বেড়ে হয় ১.৪১ লক্ষ কোটি।এপ্রিল-অক্টোবরে ছুঁয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি। অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালের চেয়ে প্রায় ২৫% বেশি। ফলে বছরে ২ লক্ষ কোটির গণ্ডি পেরোতে পারে।
ডাক বিভাগ সূত্রে দাবি, সুদে সন্তুষ্ট না হলেও বড় অংশ যে স্বল্প সঞ্চয়েবেশি লগ্নি করছেন তা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার হিসাবেও স্পষ্ট। তা ২০২২-২৩সালে ছিল ১৮.২১ লক্ষ। পরের বছর ২০ লক্ষ। এপ্রিল-অক্টোবরে ২৩.৪৬ লক্ষ। বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্রের মতে, ‘‘স্বল্প সঞ্চয়েলগ্নি বৃদ্ধির কারণ সরকারি নিরাপত্তা।’’