NASM-SR Missile

হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের ঘায়ে ধ্বংস শত্রু জাহাজ, নতুন সাফল্য ডিআরডিও-র

নৌসেনার এক্স হ্যান্ডল (সাবেক) টুইটারে ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে এনএএসএম-এসআর ক্ষেফণাস্ত্র ছোড়ার ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘অনুসন্ধানী এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:০২
ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা।

ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত।

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)। মঙ্গলবার ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নৌসেনার এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘অনুসন্ধানী এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) সবুজ সংকেত মিললেই ক্ষেপণাস্ত্রের বাণিজ্যিক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেই ‘লক্ষ্য’ অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে সরকারি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ভারতের হাতে বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘শব্দের থেকে বেশি দ্রুতগামী’ (সুপারসনিক) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’ রয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগামী (গতিবেগ ২.৮ ম্যাক অর্থাৎ, শব্দের চেয়ে ২.৮ গুণ বেশি) এই জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রাথমিক ভাবে ছিল ২৯০ কিলোমিটার। সে সময় কিছু আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধের কারণেই এই সীমারেখা তৈরি করা হয়েছিল।

২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমের (এমটিসিআর) সদস্য হওয়ার পরে রাশিয়ার নয়া প্রযুক্তির সহায়তায় ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ৪৫০ কিলোমিটার করা হয়। যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি সুখোই-৩০-এর মতো যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায় ‘ব্রহ্মস’। আমেরিকার তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হারপুন কেনার জন্য ২০২১ সালে পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ)-র সঙ্গে নয়াদিল্লির আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। বিমান থেকে ব্যবহারযোগ্য ২২০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতকে দেওয়ার জন্য আমেরিকার কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্রও মিলেছে।

ভারতের হাতে ৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু অস্ত্র বহনযোগ্য ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেও শত্রুপক্ষের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই। ডিআরডিও প্রস্তাবিত নয়া ক্ষেপণাস্ত্র সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন।

২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমের (এমটিসিআর) সদস্য হওয়ার পরে রাশিয়ার নয়া প্রযুক্তির সহায়তায় ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ৪৫০ কিলোমিটার করা হয়। যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি সুখোই-৩০-এর মতো যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায় ‘ব্রহ্মস’। আমেরিকার তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হারপুন কেনার জন্য ২০২১ সালে পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ)-র সঙ্গে নয়াদিল্লির আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। বিমান থেকে ব্যবহারযোগ্য ২২০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতকে দেওয়ার জন্য আমেরিকার কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্রও মিলেছে।

ভারতের হাতে ৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু অস্ত্র বহনযোগ্য ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেও শত্রুপক্ষের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই। ডিআরডিও প্রস্তাবিত নয়া ক্ষেপণাস্ত্র সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন