প্রতীকী ছবি।
গণপিটুনি এবং ঘৃণাভাষণের ঘটনা রুখতে ‘নোডাল অফিসার’ নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এসভিএম ভট্টির বেঞ্চের নির্দেশ, কোন কোন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কতগুলি জেলায় ‘নোডাল অফিসার’ নিয়োগ করেছে, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির থেকে জেনে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনি এবং ঘৃণাভাষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে ২০১৮ সালে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত অপরাধের উপর নজরদারি এবং স্বতঃপ্রণোদিত আইনি পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে অন্তত ‘সুপার’ পদমর্যাদার কোনও পুলিশ আধিকারিককে জেলা স্তরে ‘নোডাল অফিসার’ হিসাবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ঘৃণাভাষণ এবং তা থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার মোকাবিলায় ‘সন্দেহজনক’ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সিসিটিভি বসানো এবং ভিডিয়োগ্রাফির নিদানও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু অভিযোগ, সাম্প্রতিক কালে একাধিক রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় দেখা গিয়েছে আগাম সতর্কতামূলক কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি সরকারি তরফে। তা ছাড়া ২০২১ সালে দিল্লি এবং হরিদ্বারে যে ধর্ম সংসদ বসেছিল তাতে বক্তাদের একাংশের ঘৃণাভাষণের প্রেক্ষিতে দিল্লি আর উত্তরাখণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের ওই নির্দেশিকা কতটা পালিত হয়েছে, সে বিষয়েই রিপোর্ট তলব করেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, শনিবারই ঘৃণাভাষণের অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।