100 Minus Age Rule

‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নীতি মেনে শেয়ারে লগ্নি, কী বলা আছে এই নিয়মে?

স্টকে লগ্নির ক্ষেত্রে ‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নীতি মানার কথা বলে থাকেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কী বলা আছে এই নিয়মে, এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭
100 minus age rule for equity allocation how it benefits investors

—প্রতীকী ছবি।

শেয়ার হোক বা মিউচুয়াল ফান্ড। কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ করলে মিলবে দুর্দান্ত রিটার্ন? এই বিষয়ে ‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নীতি মেনে লগ্নির পরামর্শ দিয়ে থাকেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ। অনেকেই এই নিয়মটি সম্পর্কে অবগত। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের একাংশ এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।

Advertisement

‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নিয়মে সম্পদের বিভাজন করে লগ্নির ক্ষেত্রে প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ১০০ থেকে তাঁর বয়স বাদ দিতে হবে। উদাহরণ হিসাবে ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সে লগ্নি শুরু করছেন। সে ক্ষেত্রে ১০০ থেকে ৩০ বাদ দিলে দাঁড়াবে ৭০। এই ৭০-ই হতে হবে ওই ব্যক্তির শেয়ারে লগ্নির শতাংশ। অর্থাৎ এই নিয়মে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী হাতে থাকা সম্পদের ৭০ শতাংশ স্টকে লগ্নি করবেন। তাঁর শেয়ার ও ঋণে প্রদেয় অর্থের অনুপাত দাঁড়াবে যথাক্রমে ৭০ ও ৩০।

একই ভাবে বিনিয়োগকারী ৪৫ বছর বয়সী হলে ‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নিয়মে তাঁর কাছে থাকা অর্থের ৫৫ শতাংশ স্টকে লগ্নি করবেন তিনি। এই নিয়মের মূল লক্ষ্য হল বর্ষীয়ান লগ্নিকারীদের শেয়ার বিনিয়োগের পরিমাণ কমানো।

কিন্তু ‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নীতিতে শেয়ারে লগ্নির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। এই নিয়মে বিনিয়োগকারীর বয়সের সঙ্গে তাঁর সম্পদের বণ্টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি সব সময়ে সত্য নয়। কম বয়সী কোনও লগ্নিকারী ঝুঁকি নিতে না চাইতে পারেন। আবার বেশি বয়সে ঝুঁকি নিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে।

আরেকটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাপারটা বোঝা যেতে পারে। ধরা যাক ৩৫ বছর বয়সী দুই বন্ধু স্টকে লগ্নি শুরু করছেন। ‘১০০ বিয়োগ বয়স’ নীতিতে দু’জনের ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করা টাকার ৬৫ শতাংশ শেয়ারে যাওয়ার কথা। কিন্তু ওই দু’জনের আর্থিক সঙ্গতি একই রকমের নাও হতে পারে। আর তাই তাঁদের বিনিয়োগের অঙ্ক আলাদা আলাদা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

Advertisement
আরও পড়ুন