মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। — ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আর মাস চারেক বাকি। তার আগে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। শনিবার সকালে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গুভাই পটেলের কাছে শপথ নিয়েছেন তিন বিজেপি বিধায়ক রাজেন্দ্র শুক্ল, গৌরীশঙ্কর বিষেন এবং রাহুল লোধী। রাজেন্দ্র ও গৌরীশঙ্কর পূর্ণমন্ত্রী এবং রাহুল পূর্ণমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের আগে ‘আঞ্চলিক রাজনীতি’ এবং ‘জাতের সমীকরণ’ মেনেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র বিন্ধ্য অঞ্চলের প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা রেওয়ার থেকে চারবারের বিধায়ক। অনগ্রসর নেতা গৌরীশঙ্কর মহাকোশল অঞ্চলের বালাঘাটের সাত বারের বিধায়ক। তিনি মধ্যপ্রদেশ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন। অন্য দিকে, রাহুল উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের টিকামগড় জেলার নেতা। খড়্গাপুর থেকে ২০১৮-য় প্রথম জেতেন তিনি। ওই অঞ্চলে লোদী জনগোষ্ঠীর উপর সমাজবাদী পার্টির ‘প্রভাব’ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, মিজোরামের সঙ্গেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সেখানে শাসক দল বিজেপির সঙ্গে কার্যত মুখোমুখি লড়াই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্যের সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে কমলের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। চলতি বছরের শেষেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন। মে মাসে তিন বারের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কৈলাস জোশীর পুত্র দীপক, প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রাধেলাল বঘেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের দুই প্রভাবশালী অনুগামী, বৈজনাথ সিংহ এবং রাকেশকুমার গুপ্ত ‘পদ্ম’ ছেড়ে ‘হাত’ ধরেছেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন একদা বিজেপি নেতা, চম্বলের আত্মসমর্পণকারী ‘বাগী’ মালখান সিংহও।