গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আম পাকিস্তানিদের একাংশের শুভেচ্ছাবার্তা আসা শুরু হয়েছিল বুধবার সন্ধ্যা থেকেই। পড়শি ভারতের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সাফল্যকে এ বার কুর্নিশ জানাল পাক সরকারও। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জহরা বালোচ বললেন, ‘‘আমি বলতে পারি যে, এটি একটি বিরাট বৈজ্ঞানিক সাফল্য। যে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন প্রাপ্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের।’’
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের ‘কুমেরু’ জয় করে ইতিহাস গড়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ‘শত্রু’ পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল এবং আমজনতার মধ্যে। সমাজমাধ্যমে ভেসে আসছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত। কটাক্ষ আর শ্লেষের পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যকে প্রকাশ্যে কুর্নিশও জানাচ্ছেন পাক নাগরিকদের একাংশ। সেই সঙ্গে নিজেদের দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি এবং পাক নাগরিকদের দুরবস্থা নিয়ে কটাক্ষও চলছে।
ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর পদে থাকা ফাওয়াদ চৌধরি খোলাখুলি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সাফল্যে খুশি প্রকাশ করেছেন। এমনকি, চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ সরাসরি পাকিস্তানের সরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের জন্য সে দেশের সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাতে কান দেয়নি সে দেশের তদারকি সরকার।
পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রথম সারির সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল চাঁদের ‘কুমেরু’ জয়ের কথা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে। ‘দ্য ডন’ সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘তুলনা অসম হলেও মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এই সাফল্য থেকে পাকিস্তানের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।’’ পাক সরকার অবশ্য দু’দিন ধরে ইসরোর সাফল্য সম্পর্কে নীরব ছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের কৃতিত্ব মানল ইসলামাবাদ।