2020 Delhi Riots Case

দিল্লি হিংসায় আদালতের নিশানা বিজেপির মন্ত্রী কপিল মিশ্রকে, এফআইআর দায়েরের নির্দেশ

নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়েছিল। কপিল তাতে প্ররোচনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৫
কপিল মিশ্র।

কপিল মিশ্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

২০২০ সালে শাহিনবাগ আন্দোলন পর্বে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক বৈভব চৌরাসিয়া মঙ্গলবার অবিলম্বে কপিলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি পুলিশকে।

Advertisement

নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়েছিল। তৎকালীন বিজেপি নেতা কপিলের ‘প্ররোচনামূলক বক্তৃতা’ অশান্তির অন্যতম অনুঘটক ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু দিল্লি পুলিশ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যে চার্জশিট পেশ করেছিল তাতে কপিলর নাম ছিল না। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহম্মদ ইলিয়াস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।

দিল্লি পুলিশ অবশ্য ইলিয়াসের অভিযোগের বিরোধিতা করে আদালতকে জানিয়েছিল, কপিলকে সুপরিকল্পিত ভাবে গোষ্ঠীহিংসার মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে ‘দিল্লি প্রোটেস্ট সাপোর্ট গ্রুপ’ নামে একটি গোষ্ঠীর হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাটের কথাও জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত দিল্লি পুলিশের যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে গোষ্ঠীহিংসার সময় কপিল শিরোনামে উঠে এসেছিলেন দিল্লি পুলিশকে ‘চরমসীমা’ দেওয়ার ঘটনায়। সেই সময় সংঘর্ষে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০০-র বেশি আহত হয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়েছিলেন আরও বহু মানুষ।

সেই সময় কপিলের প্ররোচনামূলক বক্তব্যের একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল (আনন্দবাজার ডট কম যার সত্যতা যাচাই করেনি), যেখানে কপিলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তিন দিন সময় দিলাম। দিল্লি পুলিশ, জাফরাবাদ এবং চাঁদবাগের রাস্তা খালি করুক। এর পর আমাদের বোঝাতে আসবেন না। আমরা আপনাদের কথা শুনব না। তিন দিন।’’ সেই সময় কপিলের করা বেশ কিছু টুইট নিয়ে আপত্তি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আইনজীবীদের একটি গোষ্ঠী। তার পর নির্বাচন কমিশন টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছিল কপিলের করা বেশ কিছু প্ররোচনামূলক টুইট মুছে ফেলতে।

তবে বিজেপিতে কপিলের ‘ইনিংস’ অবশ্য বেশি দিনের নয়। ২০১৯ সালে তিনি আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে ‘দলবিরোধী কাজের’ অভিযোগে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই হয়েছিলেন। আপ থেকে সাসপেন্ডও হয়েছিলেন। একদা মোদীর ‘কঠোর সমালোচক’ হিসাবে পরিচিত কপিলকে প্রথমেই কোনও সাংগঠনিক দায়িত্ব দেননি বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২৩ সালে বিজেপি দিল্লির নতুন পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করে। তাতে দিল্লি বিজেপির সহ-সভাপতি হন কপিল। ২০২০ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রথম বার ভোটে লড়েন কপিল। কিন্তু মডেল টাউন কেন্দ্র থেকে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিলেন আপ প্রার্থী অখিলেশপতি ত্রিপাঠী। এ বারের বিধানসভা ভোটে উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারওয়াল নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন কপিল।

Advertisement
আরও পড়ুন