Suicide of a Businessman

‘তোকে খুন করতাম, আমি তো বাবা, তাই পারলাম না’! পরিবারের অমতে কন্যা বিয়ে করায় আত্মঘাতী ব্যবসায়ী

পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে টানাপড়েন চলছিল। কিন্তু কন্যার জেদের কাছে হার মানতে হয় সঞ্জুকে। বুধবার রাতে সঞ্জুর বাড়ির সকলে শুতে চলে যান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৬
মৃত ওষুধ ব্যবসায়ী সঞ্জু জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত।

মৃত ওষুধ ব্যবসায়ী সঞ্জু জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত।

এটা তুই ঠিক কাজ করিসনি রিকিতা (নাম পরিবর্তিত)। কী ভাবে এটা করতে পারলি। তোদের দু’জনকেই মেরে ফেলতে পারতাম। কিন্তু নিজের মেয়েকে কী ভাবে খুন করব, তাই নিজেই চলে যাচ্ছি। সুইসাইড নোটে মেয়েকে উদ্দেশ করে লেখা কয়েকটি কথা। তার ঠিক পাশেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এক ওষুধ ব্যবসায়ীর দেহ।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীর কন্যা ভিন্‌জাতের যুবককে বিয়ে করেছেন। আর সেখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। কন্যার এই কাজে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সুইসাইড নোটে সেই উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই ঘটনা আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিল। কেউ আমার যন্ত্রণা বুঝল না।’’

মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে বৃহস্পতিবার সকালে এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন স্থানীয়েরা। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ীর নাম ঋষিরাজ ওরফে সঞ্জু জয়সওয়াল। তাঁর কন্যা হর্ষিতা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। যে ঘটনা মেনে নিতে পারেননি সঞ্জু। এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে দিন পনেরো আগে পালিয়ে যান তাঁর কন্যা। ইনদওরে তাঁদের খোঁজ মেলে। বাড়িতে ফিরে এসে জানান, আইনি ভাবে তিনি বিয়ে করেছেন প্রেমিককে। তাঁর সঙ্গেই চলে যেতে চান।


পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে টানাপড়েন চলছিল। কিন্তু কন্যার জেদের কাছে হার মানতে হয় সঞ্জুকে। বুধবার রাতে সঞ্জুর বাড়ির সকলে শুতে চলে যান। গভীর রাতে গুলি চলার আওয়াজ শুনে তাঁরা জেগে ওঠেন। গিয়ে দেখেন নিজের মাথায় গুলি করেছেন সঞ্জু। ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। পরিবারের লোকজন চিৎকার করে পড়শিদের ডাকেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। সঞ্জুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, যে ঘর থেকে সঞ্জুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, সেই ঘরে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। কন্যাকে উদ্দেশ করে লেখা সেই নোট। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘হর্ষিতা, তুই ঠিক কাজ করলি না। তোদের দু’জনকেই মেরে ফেলতে পারতাম। কিন্তু আমি তো তোর বাবা, তাই পারলাম না। আমি নিজেই চলে যাচ্ছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন