(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সাম্প্রতিক কালে কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দু’সপ্তাহ আগে এমনটা হয়েছে কি? ভোটের মহারাষ্ট্র শুক্রবার দেখল পদ্মশিবিরের এমনই নজিরবিহীন তৎপরতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একই দিনে নির্বাচনী প্রচার করলেন সে রাজ্যের দুই প্রান্তে।
মোদী শুক্রবার উত্তর মহারাষ্ট্রের নাসিকে বিজেপি জোটের প্রচারসভা করেন। শাহ গিয়েছিলেন মরাঠওয়াড়া এলাকার সাতারায়। আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। মোদী শুক্রবার তাঁর সভায় বিরোধী জোটকে নিশানা করে বলেন, ‘‘আঘাড়ী গাড়ির কোনও চাকা নেই। ওরা মুখ থুবড়ে পড়বে।’’ শাহ বলেন, ‘‘হরিয়ানায় কংগ্রেসের যে হাল হয়েছে, মহারাষ্ট্রে তাদের জোটেরও সেই পরিণতি হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, উদ্ধব ঠাকরে তাঁর পুত্র আদিত্যকে এবং শরদ তাঁর কন্য়া সুপ্রিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার ছক কষছেন।
প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগের লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে বিরোধী জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ৩০টি (কংগ্রেস ১৩, উদ্ধবসেনা ৯ এবং শরদপন্থী এনসিপি ৮)। পাশাপাশি, সাংলি আসনে জয়ী নির্দল প্রার্থী কংগ্রেস শিবিরে ভিড়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯টি এবং তার দুই শরিক শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপির অজিত গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে ৭টি আর ১টি আসনে। পাঁচ বছর আগের ফল থেকে প্রায় দু’ডজন আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট। যদিও বিজেপি শিবিরের দাবি, এ বার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে তারা। সেই ধাক্কা কাটাতেই কি একই দিনে মরাঠাভূমিতে মোদী এবং শাহ?