বাঘিনি জ়িনতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
বাঘিনি জ়িনতের আতঙ্কে বড়দিনে কার্যত ফাঁকাই রইল বান্দোয়ানের বনাঞ্চলের পর্যটনস্থল ও চড়ুইভাতি করার জায়গাগুলি। চড়ুইভাতি করতে হাতেগোনা যে কয়েকটি দল এসেছিল, বুধবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেগুলিও ফেরে। বান্দোয়ানের দুয়ারসিনি বনাঞ্চল, টটকো জলাধারে থাকা পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের অভিজ্ঞতা, বিগত বছরগুলিতে এ দিনটা যেমন ব্যস্ততায় কাটে, এ বারে তার লেশমাত্র ছিল না। খুব কম সংখ্যায় পর্যটক ও পিকনিকের দল এসেছিল।
বাঘিনির অবস্থান, রাইকা পাহাড়ের জঙ্গল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে হলেও আতঙ্কের ছাপ পড়েছে বান্দোয়ানের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা দুয়ারসিনিতে। সেখানে বন দফতরের অতিথি নিবাসে বড়দিনে আগাম ‘বুকিং’ করেও কিছু পর্যটক আসেননি বলে জানাচ্ছেন নিবাসের কর্মী সিদ্ধার্থ রায়। পর্যটনের এই মরসুমে দুয়ারসিনিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বড় অংশ দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সারেন অতিথি নিবাসের ক্যান্টিনে। সিদ্ধার্থ বলেন, “এ বারে হাতেগোনা কয়েক জন পর্যটক ক্যান্টিনে খেতে এসেছিলেন। বাঘের আতঙ্ক যে জাঁকিয়ে বসেছে, তা স্পষ্ট। বড়দিনেও তাই দুয়ারসিনিতে পর্যটকের সংখ্যা নিতান্তই কম।”
এ দিকে, বড়দিনে দুয়ারসিনিতে অন্তত গোটা কুড়ি দল চড়ুইভাতি করতে এলেও এ দিন ছিল মোটে চারটি। একই ছবি টটকো জলাধারেও। বিগত বছরগুলিতে যেখানে জলাধারের পাড়ে ১৫-২০টি দল আসে, সেখানে এ বারে ছিল মাত্র ছ’টি দল। দুপুর গড়াতে তারাও তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়ে। রাইকা পাহাড় লাগোয়া আসনপানি গ্রামের বাসিন্দা গণপতি সরেন জানান, বান্দোয়ান এলাকার বনাঞ্চলে বাঘ আসার খবর সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কে এ বারে বড়দিনে তাই লোকজন খুব কম এসেছিলেন।