বনগাঁয় কচ্ছপ উদ্ধার করল বন দফতর। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
বনগাঁ মহকুমার তিনটি বাজারে অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে প্রচুর কচ্ছপ উদ্ধার করল বন দফতর। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন কারবারিকে। ধৃতদের নাম তাপস হালদার, সুব্রত হালদার এবং অঞ্জলি মালি। বন দফতর সূত্রের খবর, গাইঘাটার পাঁচপোতা বাজার, বনগাঁ নিউমার্কেট এবং ট বাজারে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ‘ফ্ল্যাপশেল’ প্রজাতির প্রায় ২০০টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা বনাধিকারিক অভিজিৎ কর বলেন, “সারা বছর ধরেই আমরা বেআইনি ভাবে কচ্ছপ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। শীতের মরসুমে কচ্ছপ বিক্রি বাড়ে। ফলে এই সময়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে বাজারগুলির উপরে আরও বেশি নজরদারি চালানো হয়।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারে লুকিয়ে বা প্রকাশ্যে কচ্ছপ বিক্রি চলে। শীতের মরসুমে কচ্ছপ বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শীত পড়তে এবারও জেলার বিভিন্ন বাজারে শুরু হয়েছে কচ্ছপ বিক্রি। মধ্যমগ্রাম, বারাসত, হাবড়া, অশোকনগর, বনগাঁ, গাইঘাটা, বাগদা, স্বরূপনগর, বসিরহাট সর্বত্র দেখা যাচ্ছে একই ছবি। মূলত ভিন্ রাজ্য থেকে কচ্ছপ আনা হয়। মাছ ভর্তি ট্রাক বা ম্যাটাডোরে মাছের ট্রের নীচে লুকিয়ে নিয়ে আসা হয় কচ্ছপ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় থাকে না। কয়েক বছর আগে গাইঘাটার বিষ্ণুপুর এলাকা থেকে এমনই একটি কচ্ছপ ভর্তি ম্যাটাডর আটক করেছিল সিআইডি। পশুখাদ্য বা অন্যান্য জিনিসপত্রের আড়ালে কচ্ছপ নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বাংলাদেশেও কচ্ছপ পাচার করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে কচ্ছপের চাহিদা রয়েছে। শীতে চাহিদা কয়েকগুণ বাড়ে। অনেকেই মনে করেন, ক্রেতারা কচ্ছপের মাংস খাওয়ার বিষয়ে সচেতন না হলে বিক্রি বন্ধ হবে না। অভিজিৎ বলেন, “কচ্ছপ কারবারিদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। বিচারে ৭ বছর কারাদণ্ড পর্যন্ত হয়।”