— প্রতীকী চিত্র।
নতুন শিক্ষাবর্ষে হাওড়ার প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের বই বিলি নিয়ে জট কাটল। সব সরকারি স্কুলগুলির মতো চলতি বছর থেকে বই পাবে প্রতিবন্ধী স্কুলগুলিও।
হাওড়া জেলায় তিনটি সরকার পোষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ স্কুল আছে। সেগুলি জনশিক্ষা প্রসার দফতরের অধীন। এখানে মূক-বধির, দৃষ্টিহীন ও মানসিক প্রতিবন্ধী পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় দু’শো। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্কুলের সঙ্গে জনশিক্ষা প্রসার দফতরের এই বিশেষ স্কুলের সিলেবাস এক। কিন্তু বামফ্রন্ট আমল থেকে চালু হওয়া এই প্রতিবন্ধী স্কুলগুলির অভিযোগ ছিল, তাদের বই মিলছে না।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পরেই নড়ে বসে প্রশাসন। ওই স্কুলগুলিতে পাঠ্যপুস্তক প্রদানের জন্য বিকাশভবন থেকে লিখিত নির্দেশ আসে। এই খবরে খুশি পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা।
উলুবেড়িয়া জগৎপুর আনন্দ ভবন ডেফ অ্যান্ড ব্লাইন্ড স্কুলের টিচার ইনচার্জ অজয় দাস বলেন, ‘‘এটা খুব ভাল উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হয়েছে। আশা করছি, বাকি বই খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব।’’ তবে তাঁর খেদ, ‘‘এখনও অনেক বৈষম্য রয়ে গিয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্যাগ, জুতো, খাতা দেওয়া হলেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা কিন্তু তা পায় না। তা হলে প্রতিবন্ধী আইনের সমানাধিকারের কী হল?’’
হাওড়া ভাষাবিকাশ কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি রানু থানেদার বলেন,‘‘এই নির্দেশে আমরা সকলে খুশি। তবে সারা রাজ্যের জন্য এই একই নির্দেশ দিলে আরও ভাল হয়।’’