শরদ এবং অজিত পওয়ার। ফাইল চিত্র।
শিবসেনার পর এ বার মহারাষ্ট্রে এনসিপিতে ভাঙন ধরাতে পারে বিজেপি। গত সপ্তাহ থেকেই জল্পনা চলছে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিতের সঙ্গে গোপনে পদ্ম-শিবিরের ‘যোগাযোগ’ শুরু হয়েছে। যদিও সোমবার অজিত তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনা খারিজ করেছেন। কাকার সঙ্গে তাঁর কোনও মতবিরোধ নেই বলেও দাবি করেছেন।
এনসিপির জাতীয় অধিবেশনে দলের সভাপতি হিসাবে রবিবার পুনর্নির্বাচিত হন শরদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পর কাকার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি অজিতকে। বরং মাঝপথেই তিনি বৈঠক ছেড়ে চলে যান বলে এনসিপির অন্দরের খবর। এর পর থেকেই অজিতের দল ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। অজিত অবশ্য সোমবার বলেন, ‘‘ব্যস্ততার কারণেই সে দিন কথা বলা হয়নি। এর মধ্যে অন্য ব্যাখ্যা খোঁজার কোনও কারণই নেই।’’ এ নিয়ে ফের প্রশ্ন করা হলে অজিতের উত্তর, ‘‘প্রস্রাব করার জন্যেও কি কেউ বাইরে যেতে পারে না।’’
উদ্ধর ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে শিবসেনায় ভাঙনের পরে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র বৃহত্তম দল হয়েছে এনসিপি। দলের পরিষদীয় নেতা হিসেবে গত জুলাই মাসে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন অজিত। তার আগে উদ্ধব সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর এনসিপি প্রধান শরদ ভাইপো অজিত ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিতে হয়ে তাঁদের দু’জনকে। অজিত ফের শরদের শিবিরে আশ্রয় নেন। তাঁকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ অঘাড়ী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী করেন শরদ।
গত নভেম্বরে বেনামি সম্পত্তি আইনে পাঁচটি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দফতর। যার মিলিত মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। সেগুলির আসল মালিক অজিত বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে কারণেই তিনি ফের বিজেপি-মুখী হতে পারেন বলে জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ জোটের একাংশের আশঙ্কা।