চিনি রপ্তানী বন্ধ করতে পারে কেন্দ্র। প্রতীক ছবি।
সব্জির বাজারে আগুন। ক্রমশ চড়ছে চাল-সহ বিভিন্ন শস্য এমনকি, অন্য খাদ্যের দামও। এই পরিস্থিতিতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে আমজনতার মন পাওয়ার আশায় তাই খাদ্যপণ্য-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চড়া দাম কমাতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই পদক্ষেপের অংশ হিসাবেই এ বার চিনি রফতানিতে সাময়িক বিধিনিষেধ জারি হতে পারে বলে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শীঘ্রই বৈঠক করতে পারে বলে ওই সূত্রে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রায় সাত বছর পরে চিনি রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। প্রসঙ্গত, ঘরোয়া বাজারে গমের জোগান অব্যাহত রাখতে গত বছর কয়েক মাসের জন্য গম রফতানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছিল কেন্দ্র। পরে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আবেদনে সাড়া দিয়ে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা উষ্ণ বাতাস এল নিনোর প্রভাবে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আখ চাষের ক্ষতি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক সূত্রের খবর। আখ উৎপাদনকারী দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে এই মরসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। আখ উৎপাদন কম হওয়ায় প্রভাব পড়েছে চিনি কলগুলিতে। ফলে ঘরোয়া বাজারে চিনির দাম চড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯৪ লক্ষ টন চিনি রফতানি করেছিল ভারত। গত কয়েক বছরে বিশ্ববাজারে চিনি রফতানির ক্ষেত্রে ভারতের স্থান ক্রমশই মজবুত হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে বিশ্বের মোট চিনি রফতানির ৩.৪ শতাংশ ছিল ভারতের দখলে, ২০২১-২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ শতাংশে। ফলে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি ব্যবসায়ীদের একাংশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে। বিশ্ববাজারেও এর ফলে চিনির দাম চড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।