ল্যান্ডের বিক্রমের পাঠানো ছবি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
১৯ মিনিটের সফল ‘চূড়ান্ত অবতরণ প্রক্রিয়া’র পরেই কাজ শুরু করে দিল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে তোলা ছবি পাঠিয়ে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র সদর দফতরে।
ইসরোর তরফে টুইট-বার্তায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়ার সমাপ্তি পর্বের সেই ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে মক্স-আইএসটিআরসি (ইসরোর ওয়ার রুম)-র সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।’ পরবর্তী পর্যায়ে বিক্রমের পেটের ভিতর থেকে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার প্রজ্ঞান।
বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডারের অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ইসরো ঘোষিত সময়সীমা কাঁটায় কাঁটায় মেন। সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে। চন্দ্রপৃষ্ঠের উপরে ৩০ কিলোমিটার থেকে বিক্রমের উচ্চতা কমিয়ে প্রথমে ৭ কিলোমিটারে আনা হয়। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এই পর্যায়টির নাম ‘রাফ ব্রেকিং’। এর পরের পর্যায়ে সম্পন্ন হয় পাখির পালকের মতো অবতরণ (সফ্ট ল্যান্ডিং) পর্ব।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিক্স সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে গিয়েছেন। বুধবার সেখান থেকেই তিনি বিক্রমের অবতরণ প্রত্যক্ষ করছেন। বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিতে ইসরোর সরাসরি সম্প্রচারে যোগ দেন তিনি। বিক্রমের ‘চাঁদের কুমেরু’ জয়ের পরে মোদী চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী এবং ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন ‘‘আমরা ভারতে পৃথিবীকে মা বলি আর চাঁদকে বলি মামা। ভারতের শিশুদের মায়েরা এত দিন বলে এসেছেন, ‘চন্দামামা দূর কি হ্যায়’ (ওই দূরে চাঁদমামা)। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই ভারতের আগামী প্রজন্মের শিশুরা বলবে ‘চন্দামামা ট্যুর কি হ্যায়’ (চাঁদমামা বেড়ানোর জায়গা)।’’