গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বিরোধী সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করেই গত মাসে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের নতুন খসড়া অনুমোদন করেছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। এ বার সেই খসড়ায় প্রস্তাবিত ১৪টি সংশোধনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।
বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বাধীন জেপিসির বিজেপি সদস্যদের আনা ১৪টি সংশোধনী-সহ বিলটি সংসদে পেশ করার জন্য সরকারের কাছে জেপিসি সুপারিশ করেছে। ইতিমধ্যেই জেপিসির সেই রিপোর্ট সংসদে প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র মেলায় আগামী ১০ মার্চ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে খসড়াটি বিল আকারে সংসদে পেশ করা হতে পারে বলে এনডিটিভি প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে।
ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসির সদস্য তথা বিজেপি সাংসদ মেধা বিশরাম কুলকার্নি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জেপিসি রিপোর্টটি পেশ করেছিলেন। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে তখন অভিযোগ করেন, জেপিসির বিরোধী সদস্যরা ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্ট থেকে সেগুলি মুছে ফেলা হয়েছে। যদিও সংসদীয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘এমন কিছুই হয়নি।’’
জগদম্বিকার দাবি, সরকার পক্ষের তরফে ২৩ এবং বিরোধীদের তরফে ৪৪টি সংশোধনী প্রস্তাব জেপিসিতে জমা পড়েছিল। তার মধ্যে সরকার পক্ষের ১৪টি সংশোধনী ভোটাভুটির মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রবল আপত্তি ও হট্টগোলের মধ্যে গত বছরের ৮ অগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুমন্ত্রী রিজিজু। বিলটি ‘অসাংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা একযোগে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ৪৪টি সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের উপর সরকারি কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দীর্ঘ বিতর্কের শেষে ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি ৩১ সদস্যের জেপিসির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।