NASM-SR Missile

হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস ‘শত্রুর’ যুদ্ধজাহাজ! নতুন সাফল্য ডিআরডিও-র

ওড়িশার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বঙ্গোপসাগর উপকূলে ডিআরডিও এবং নৌসেনার যৌথ উদ্যোগে ওই পরীক্ষা চালানো হয়। প্রসঙ্গত, বছর দেড়েক আগে নৌসেনার ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে প্রথম এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৩

ছবি: পিটিআই।

এ বার ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও) দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল। বুধবার ভারতীয় নৌসেনার হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ওড়িশার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র (ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ বা আইটিআর) থেকে বঙ্গোপসাগর উপকূলে ডিআরডিও এবং নৌসেনার যৌথ উদ্যোগে ওই পরীক্ষা চালানো হয়। প্রসঙ্গত, বছর দেড়েক আগে নৌসেনার ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে প্রথম এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ বার নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত নিশ্চিত করতে ‘টার্মিনাল গাইডেন্স’-এর জন্য একটি দেশীয় ইমেজিং ইনফ্রা-রেড (আইআইআর) চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন।

অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেই ‘লক্ষ্য’ অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভারতের হাতে বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘শব্দের থেকে বেশি দ্রুতগামী’ (সুপারসনিক) ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’ রয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগামী (গতিবেগ ২.৮ ম্যাক অর্থাৎ, শব্দের চেয়ে ২.৮ গুণ বেশি)। যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি সুখোই-৩০-এর মতো যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায় ৪৫০ কিলোমিটার পল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’।

Advertisement
আরও পড়ুন