Andhra Pradesh Election 2024

তামিলনাড়ুর পরে এ বার এনডিএ ভাঙল অন্ধ্রে! মোদীকে ছেড়ে চন্দ্রবাবুর পাশে চিত্রতারকা পবন

বৃহস্পতিবার পবন জানিয়েছেন, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর জন্য আগামী বিধানসভা ভোটে চন্দ্রবাবুর টিডিপির সঙ্গে জনসেনা আসন সমঝোতা করবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বিজয়ওয়াড়া শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৩
নরেন্দ্র মোদী, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং পবন কল্যাণ (বাঁ দিক থেকে)।

নরেন্দ্র মোদী, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং পবন কল্যাণ (বাঁ দিক থেকে)। — ফাইল চিত্র।

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র সঙ্গে জোট বাঁধার কথা জানিয়েছিল মাস খানেক আগে। এ বার তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পবন জানিয়েছেন, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর জন্য আগামী বিধানসভা ভোটে টিডিপির সঙ্গে জনসেনা আসন সমঝোতা করবে। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধ্রের উন্নয়নের জন্য সরকার বদল জরুরি। তাই এনডিএ ছেড়ে আমরা টিডিপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর সঙ্গে পবনের সমঝোতার সিদ্ধান্ত তেলুগু রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে বলে ভোটপণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন।

পবনের দাদা চিরঞ্জীবীও তেলুগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। ২০০৯-এ ভোটের ঠিক আগে নিজের দল প্রজারাজ্যম পার্টি গড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তবে দাদার সঙ্গে প্রজারাজ্যম পার্টির প্রচার করলেও পবন কখনও কংগ্রেসে যোগ দেননি। ২০১৯-এ বিধানসভা ভোটের আগে জনসেনা গড়ে আলাদা ভাবে লড়েছিলেন। কিন্তু দু’টি কেন্দ্রে লড়েও বিধায়ক হতে পারেননি। ১৭৫ আসনের অন্ধ্র বিধানসভায় মাত্র একটিতে জেতে তাঁর দল।

প্রসঙ্গত, আগামী বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। টিডিপির সঙ্গে হাত মেলালে পবন তেলুগু রাজনীতির অনেক সমীকরণ বদলে দিতে পারেন বলে তাঁর অনুগামীদের দাবি। কয়েক সপ্তাহ আগেই পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এডিএমকের তরফে এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পবনের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ ভারতে বিজেপির অবস্থান আরও নড়বড়ে করে তুলল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনের দলের সঙ্গে সমঝোতার পথ এখনও খোলা রয়েছে বলে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন