নিজেদের দেশে ফিরলেন ভারতের ৯৫ জন এবং বাংলাদেশের ৯০ জন মৎস্যজীবী। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অবশেষে নিজেদের দেশে ফিরলেন ভারতের ৯৫ জন এবং বাংলাদেশের ৯০ জন মৎস্যজীবী। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বঙ্গোপসাগরের উপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় হয়। ভারত বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেয় এ দেশে বন্দি ৯০ জন মৎস্যজীবীকে। একই ভাবে বাংলাদেশ ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেয় ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে যাচ্ছেন। সেখানেই মুক্তি পাওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের তিনি স্বাগত জানাবেন। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলবেন বলে সূত্রের খবর।
প্রায় আড়াই মাস আগে বাংলাদেশের জলসীমার ভিতর ঢুকে পড়ায় কাকদ্বীপের ছ’টি ট্রলার আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলারগুলিতে ছিলেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়ায় আটক করা হয় ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী এবং তাঁদের দু’টি ভেসেলকে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ওই ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক ছ’টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অধিকাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এবং নামখানার বাসিন্দা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের সোমবার গঙ্গাসাগরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সময় গঙ্গাসাগরে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।