Kumbh Mela Fire

ত্রাতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই! কী ভাবে মাত্র ২২ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা গেল কুম্ভমেলার বিধ্বংসী আগুন?

রবিবার বিকেল ৪টে ৮ মিনিটে কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণের ১৯ নম্বর সেক্টরে গীতা প্রেসের তাঁবুতে আগুন লাগে। দ্রুত পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৭
কুম্ভমেলার আগুনের দৃশ্য।

কুম্ভমেলার আগুনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

কুম্ভমেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছেন প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে পুণ্যস্নানের জন্য। তার মধ্যেই রবিবার বিকেলে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মেলা চত্বরে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। জ্বলে ওঠে একের পর এক তাঁবু। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মাত্র ২২ মিনিটেই সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়! কী ভাবে সম্ভব হল?

Advertisement

পুলিশ সুপার তথা ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের (আইসিসিসি) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আইপিএস অমিত কুমার বলেন, ‘‘কুম্ভমেলায় প্রথম বার এত ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। মেলাপ্রাঙ্গণ ছাড়াও শহর জুড়ে ৩০০০-এরও বেশি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলির মধ্যে ১৮০০টি এআই দ্বারা চালিত। ক্যামেরাগুলি কোনও মুহূর্তের ফুটেজের উপর ভিত্তি করে নির্ভুল তথ্য দেয়। ফলে কোনও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেলে তা ঠিক কোথায়, কী ভাবে ঘটেছে, তা জানতে অনুমানের উপর নির্ভর করতে হয় না।’’ অমিত জানাচ্ছেন, কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় মাত্রাছাড়া ভিড় জমে গেলে স্ক্রিনে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সতর্কতা ভেসে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে ওয়ারলেসের মাধ্যমে সেই তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। তখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমে পড়েন পুলিশকর্মীরা। এই ভাবেই দ্রুত নেভানো গিয়েছে কুম্ভমেলার আগুনও। রবিবার আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল আইসিসিসির কাছে। সাত মিনিটে জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকলকর্মীরা। তার পর মাত্র ২২ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি ভানু ভাস্কর জানান, রবিবার বিকেল ৪টে ৮ মিনিটে তাঁরা কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণের ১৯ নম্বর সেক্টরে গীতা প্রেসের তাঁবুতে আগুন লাগার খবর পান। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সাহায্যে দ্রুত পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনায় কেউ আহত না হলেও সারি সারি তাঁবু পুড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবারই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে যোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

Advertisement
আরও পড়ুন