ত্বকের জন্য চিয়া ভাল না জিরে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালবেলা খালি পেটে রোজ জিরে ভেজানো জল খেতে ভাল লাগে না। তাই মাঝেমধ্যে চিয়া বীজের জলও খান। পেটের গোলামাল হলে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে জিরের জল খাওয়ার চল বহু পুরনো। কিন্তু চিয়া বীজ খাওয়ার প্রচলন কিন্তু পশ্চিমেই বেশি। তবে এখন এ দেশেও চিয়ার যথেষ্ট কদর। জিরে এবং চিয়া, শরীরের জন্য দু’টিই ভাল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু’টিরই ভূমিকা রয়েছে। জিরে যদি হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, তা হলে অন্ত্র ভাল রাখার দায়িত্ব নেয় চিয়া। কিন্তু ত্বকের জন্য কোনটি বেশি কার্যকর?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জিরের জল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। নানা ধরনের খনিজও রয়েছে। সকালে খালি পেটে জিরে ভেজানো জল খেলে শরীর থেকে সহজে টক্সিন বেরিয়ে যায়। চিয়া বীজেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। তবে তার চেয়েও জরুরি যে উপাদান রয়েছে সেটি হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই কোলাজেন কিন্তু ত্বকের ইলাস্টিটি অর্থাৎ টান টান ভাব ধরে রাখে। আবার, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ত্বকের জন্য দু’টিই ভাল। চিয়া বীজ খেলে ত্বক আর্দ্র থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এই বীজে। এ ছাড়াও রয়েছে ফাইবার। যা অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। আবার, ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে জিরে। হজমের গোলমাল, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতেও জিরে ভেজানো জল খাওয়া যায়। কার ত্বকে কী ধরনের সমস্যা, তা দেখে ঠিক করতে হবে কে কোন পানীয়টি খাবেন।