India-Afghanistan Relation

পাক বিমানহানার নিন্দা করার পরেই তালিবানের মুখোমুখি ভারত, বৈঠকে আফগান বিদেশমন্ত্রী

তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ এবং ক্রিকেট-সহযোগতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিদেশসচিব এবং তালিবান বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৮
দুবাইয়ে ভারতীয় ও আফগান প্রতিনিধিদল।

দুবাইয়ে ভারতীয় ও আফগান প্রতিনিধিদল। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিস্রী বৈঠক করলেন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রী মাওলাভি আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে। তবে নয়াদিল্লি বা কাবুল নয়, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ে বুধবার হল দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রকের এই প্রতিনিধিস্তরের বৈঠক।

Advertisement

সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ এবং ক্রিকেট-সহযোগতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথম বার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। ঘটনাচক্রে, আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানি বায়ুসেনার হামলার দু’সপ্তাহের মাথাতেই ‘কাছাকাছি এল’ নয়াদিল্লি-কাবুল।

গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ লাগোয়া আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। ইসলামাবাদের দাবি, আফগান তালিবানের একাংশের মদতপুষ্ট তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের অভিযোগ, বারমাল জেলায় লামান-সহ সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবার ভারত ওই বিমানহামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দরজা খুলল দ্বিপাক্ষিক কূটনীতির। তালিবান সরকারের তরফে বুধবার আফগানিস্তানে ভূমিকম্প এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাতের পরিস্থিতিতে ‘মানবিক সাহায্যে’র জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

সাড়ে তিন বছর আগে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই তাদের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। নরেন্দ্র মোদী সরকার তালিবান প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দের সরকারকে স্বীকৃতিও দেয়নি। ফলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার ‘ট্র্যাক টু’ (সমান্তরাল) কূটনীতির মাধ্যমে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট তালিবান কাবুল দখল করেছিল। তার প্রায় ১০ মাস বাদে আফগানস্তানে প্রথম পা রেখেছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ২০২২ সালের জুন মাসে বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক তৎকালীন যুগ্মসচিব জেপি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেছিলেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল-সহ কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে। চলতি বছরে ভারতে বসবাসকারী আফগান পড়ুয়া ইক্রমউদ্দিন কামিলকে মুম্বইয়ের উপদূতাবাসের দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিল তালিবান সরকার।

Advertisement
আরও পড়ুন