Delhi Assembly Election 2025

মমতার মতোই কেজরীর পাশে অখিলেশ, উদ্ধব! দিল্লির ভোটে এ বার কংগ্রেসমুক্ত ‘ইন্ডিয়া’

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার ভোট। তৃণমূলের পাশাপাশি ‘ইন্ডিয়া’র শরিক সমাজবাদী পার্টি এবং উদ্ধবসেনার সমর্থন পেয়েছে কেজরীর আপ। ফলে ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে কোণঠাসা কংগ্রেস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৭
Ahead of Delhi Assembly Election Congress isolated in INDIA alliance, allies rally around AAP of Arvind Kejriwal

(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, অখিলেশ যাদব এবং উদ্ধব ঠাকরে। —ফাইল ছবি।

আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল আওয়াজ তুলেছিলেন দু’সপ্তাহ আগে। দিল্লির বিধানসভা ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা পূরণের পূর্বাভাস দেখা গেল। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একের পর এক সহযোগী দল আপকে সমর্থন জানানোয় কার্যত জোটের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়ল কংগ্রেস!

Advertisement

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ইতিমধ্যেই দিল্লির ভোটে আপকে সমর্থন করেছে। লোকসভার সাংসদ সংখ্যার হিসাবে এসপি ‘ইন্ডিয়া’র দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক। তৃণমূল তৃতীয় বৃহত্তম। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি)-ও আনুষ্ঠানিক ভাবে কেজরীর দলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করতে চলেছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে লালুপ্রসাদের আরজেডি, শরদ পওয়ারের এনসিপি (শরদ)-ও একই পথ নিতে পারে বলে আপ নেতৃত্বের একাংশের দাবি।

কেজরী অবশ্য এখনও পর্যন্ত মমতাকেই প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বুধবার এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দিল্লির নির্বাচনে আপকে সমর্থন করেছে তৃণমূল। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মমতাদিদির কাছে কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ দিদি। আপনি সব সময় আমাদের ভাল ও খারাপ সময়ে সমর্থন এবং আশীর্বাদ করেছেন।’’ প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দিল্লির কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন বুধবার কেজরীওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ (জালিয়াত) বলেছিলেন। দলের তরফে ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করে গত এক দশকে আপের শাসনে দিল্লি দুর্নীতি এবং অনুন্নয়নের শিকার হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

তার পরেই কেজরী প্রকাশ্যে ‘ইন্ডিয়া’ থেকে কংগ্রেসকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন। সেই সঙ্গে অভিযোগ তুলেছিলেন, দিল্লির বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। ঘটনাচক্রে, ‘ইন্ডিয়া’র কয়েকটি শরিক দলের তরফেও এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ন’মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস এবং আপ। কিন্তু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির সাতটি আসনেই বিজেপি জিতেছিল। তার পরেই ‘ইন্ডিয়া’র দুই সহযোগীর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। দিল্লির পড়শি হরিয়ানায় লোকসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়লেও সেপ্টেম্বরের বিধানসভা ভোটে দু’দল আলাদা ভাবে লড়েছিল।

এ বার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ‘ইন্ডিয়া’য় কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে। মমতার দলের সাংসদদের তোলা প্রশ্নে সায় দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের এসপি-ও। সংসদ চত্বরে আদানিদের ‘ঘুষকাণ্ডের’ প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভে দেখা যায়নি ‘ইন্ডিয়া’র ‘মেজো’ এবং ‘সেজো’ শরিককে। আরজেডি, এনসিপি(শরদ), উদ্ধবসেনার আদিত্য ঠাকরের মতো বিরোধী নেতারা এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো ‘ইন্ডিয়া’র বাইরের দলও বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে মমতাকে তুলে ধরার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেছেন, বিরোধী মঞ্চের নেতৃত্বের দাবি জানাতে পারেন মমতা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী অনৈক্যকে কটাক্ষ করে বিজেপির খোঁচা— ‘ইন্ডিয়া’ হল স্বার্থের জোট। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলেই জোট ভেঙে যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন