গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে মজবুত করতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মঙ্গলবার মোদীর বার্তা নিয়ে পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে রওনা হচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্পের জয়ের পরে এই প্রথম ভারত থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের কোনও প্রতিনিধিদল আমেরিকার পরবর্তী সরকারি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে— ‘‘তিনি (জয়শঙ্কর) তিনি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করবেন।’’ পাশাপাশি আমেরিকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশ মন্ত্রকের অন্য আধিকারিকদের সঙ্গেও একটি আলোচনাসভায় তাঁর অংশ নেওয়ার কথা।
২০১৬-২০ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মোদীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সমীকরণ ছিল নিবিড়। গত নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পরেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত চার বছর ধরে জো বাইডেনের জমানায় আমেরিকান কংগ্রেসের মানবাধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টে তুলোধোনা করা হয়েছে সংখ্যালঘু নিপীড়ন, জাতিবৈষম্য, মণিপুরের হিংসার মতো ঘটনাকে। প্রতি মাসে হোয়াইট হাউসে বাইডেন সরকারের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে। শাসক শিবিরের একাংশের অভিযোগ, এমন ভাবে প্রশ্ন সাজানো হত, যাতে মোদী সরকারের মানবাধিকার রক্ষা, বাক্স্বাধীনতা সংক্রান্ত ভূমিকার সমালোচনা করা যায়। ট্রাম্প আসার পর এই প্রবণতার ইতি ঘটবে বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।