Delhi High Court

দুই বিবাহিত নারী-পুরুষ লিভ ইন করতে পারেন, পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগ চলবে না

দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী নন, এমন দুই প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা চাইলে লিভ ইন করতেই পারেন। অনেক সময় সেটা সমাজ মানতে পারে না। কিন্তু আইনের চোখে তা দোষের কিছু নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৮
Delhi High Court

দিল্লি হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

দুই বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা চাইলে একত্রবাস বা লিভ ইন করতেই পারেন। কিন্তু পরে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ আনা যাবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টর।

Advertisement

বিচারপতি স্বরণাকান্ত শর্মার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী নন, এমন দুই প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা চাইলে লিভ ইন করতে পারেন। অনেক সময় সমাজ সেটা মানতে পারে না। কিন্তু আইনের চোখে তা দোষের কিছু নয়। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এ-ও জানান, অনেক সময় সমাজের চোখে যা কিছু নিন্দাজনক তা আইনের চোখে দোষের হয় না। তাই দুই বিবাহিত যুবক-যুবতী এক সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলে সামাজিক নিন্দা হতেই পারে। কিন্তু সেখানে আইনের কিছু করার থাকে না। আইনত সেটা দোষেরও নয়। এর পরেই একটি ‘কিন্তু’ জুড়েছে হাই কোর্ট। শুনানিতে বলা হয়েছে, দুই বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা নিজেদের ইচ্ছায় এক সঙ্গে আছেন, অথচ পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মহিলাটি, সেটা হবে না।

উল্লেখ্য, এক যুবক তাঁর বিরুদ্ধে আনা এফআইআর খারিজের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতে আবেদনকারী জানান, তিনি নিজে বিবাহিত। তাঁর যে একত্রবাসের সঙ্গিনী ছিলেন, তিনিও বিবাহিতা। কিন্তু একত্রবাসের সঙ্গীর বিরুদ্ধে থানায় সেই মহিলা অভিযোগ করে জানান যে, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অন্য দিকে, আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে মামলাকারী আবার প্রাক্তন সঙ্গিনীর বিরুদ্ধে কিছু ‘অশালীন’ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছে আদালত। তাই আদালত ওই যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের নির্দেশ দিলেও তাঁর আবেদনপত্রে ব্যবহৃত বেশ কিছু শব্দ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন
Advertisement