Curfew in Imphal

একের পর এক থানা ঘেরাও করে হামলা, পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে ইম্ফলে আহত ১৫, কার্ফু জারি

পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। ইম্ফলের অন্যত্র যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:২১
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

পাঁচ যুবকের মুক্তির দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানী ইম্ফল-সহ মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে মেইতেইদের। তাদের মহিলা সংগঠন মীরা পাইবিস এবং ইম্ফলের ছ’টি স্থানীয় ক্লাবের নেতৃত্বে পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে থানাগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখান মেইতেই সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার সেই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। একের পর এক থানা ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী পূর্ব ইম্ফল এবং পশ্চিম ইম্ফলের বেশ কিছু থানা ঘেরাও করেন। শুধু তাই-ই নয়, অভিযোগ, জোর করে থানায় ঢুকে হামলাও চালানো হয়। পূর্ব ইম্ফলের অ্যান্ড্রো এবং পোরোমপাট থানায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, পশ্চিম ইম্ফলের সিংজামেই, কোয়াকেইথেল এবং মায়াংয়েও বেশ কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

ইম্ফলের অন্যত্র যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে র‌্যাফ। গত শনিবার পাঁচ সশস্ত্র যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই গ্রেফতারির পর থেকেই আবার নতুন করে অশান্তি ছড়ায় রাজধানী ইম্ফল-সহ মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায়। মেইতেইদের দাবি, যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা গ্রামরক্ষক এবং স্বেচ্ছাসেবী। কিন্তু পুলিশের পাল্টা দাবি, ধৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। পাঁচ যুবকের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার মণিপুরে ৪৮ ঘণ্টার বন্‌ধ ডাকে মেইতেইদের মহিলা সংগঠন এবং ইম্ফলের বেশ কিছু স্থানীয় ক্লাব। সেই বন্‌ধের ভাল সাড়া পড়েছিল ইম্ফলে। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। তখনই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে।

আরও পড়ুন
Advertisement