One Nation One Election

‘এক দেশ এক ভোট’ বিল সংক্রান্ত সংসদের যৌথ কমিটিতে প্রিয়ঙ্কা, সঙ্গে কংগ্রেসের আরও তিন

১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিলে ৮৩, ১৭২ এবং ৩২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে। ফলে লোকসভায় মঙ্গলবার বিল পেশের আগে বিরোধীদের তোলা ডিভিশনের দাবি মেনে ভোটাভুটি করাতে হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের খসড়ার পরিমার্জনের উদ্দেশ্যে গঠিত সংসদের যৌথ কমিটির সদস্য হলেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। কেরলের ওয়েনাড়ের সদ্যনির্বাচিত সাংসদের পাশাপাশি কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মনীশ তিওয়ারি ও সুখদেও ভগত এবং রাজ্যসভার সাংসদ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা ওই কমিটির সদস্য হয়েছেন বলে সংসদের সচিবালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

বিরোধীদের আপত্তির মাঝেই মঙ্গলবার লোকসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশ করে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল এ সংক্রান্ত ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল সংসদের নিম্নকক্ষে পেশ করেন। এর পরে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল জোড়া বিল নিয়ে ডিভিশনের দাবি তোলে। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় বিধি মেনে কোনও বিল নিয়ে বিতর্কের আগে ভোটাভুটি করতে হয়। কারণ, ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিলে ৮৩, ১৭২ এবং ৩২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে।

ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট দেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন। ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের জন্য প্রথমে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ এবং তার পরে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটি হয়। এই প্রথম নতুন সংসদ ভবনে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ ব্যবহার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের খসড়া নিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিতে আলোচনা চান। সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। অর্থাৎ, লোকসভায় ৩০৭ এবং রাজ্যসভায় ১৫৮, যা এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন