Assembly Election 2024

ঝাড়খণ্ডে এবং মহারাষ্ট্রে ইতি হল ভোটের প্রচারে, নির্বাচন শেষে বুধে জানা যাবে বুথফেরত সমীক্ষা

সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনে সব ক’টি এবং ঝাড়খণ্ডের ৮১টির মধ্যে দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ভোট হতে যাওয়া ৩৮টি আসনে প্রচার শেষ হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০৯
Campaign end for Maharashtra and Jharkhand assembly election 2014

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

লোকসভা ভোটের ছ’মাস পরে পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতের দুই রাজ্যে শক্তিপরীক্ষায় এনডিএ এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রচার শেষ হচ্ছে। বুধবার ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। একই সূচি বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়ে যাওয়া ৩৮টি আসনেও। দু’রাজ্যেই ভোটগণনা আগামী ২৩ নভেম্বর (শনিবার)।

Advertisement

বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। এ ছাড়া ভোটের ময়দানে রয়েছে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস), বাবাসাহের অম্বেডকরের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ অম্বেডকরের ‘বঞ্চিত বহুজন অঘাড়ী’ (ভিবিএ), হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল।

ক্ষমতাসীন জোটের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে (কোপরি-পাচপাখাড়ি), দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, এনসিপির অজিত পওয়ার (বারামতী) এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস (নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম)। বিরোধী জোটের উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য (ওরলি), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে (সাকোলি) এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি(এসপি)-র পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র আওয়াড় (মুমব্রা-কালওয়া)।

প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগের লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে বিরোধী জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ৩০টি (কংগ্রেস ১৩, উদ্ধবসেনা ৯ এবং শরদপন্থী এনসিপি ৮)। পাশাপাশি, সাংলি আসনে জয়ী নির্দল প্রার্থী কংগ্রেস শিবিরে ভিড়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ন’টি এবং তার দুই শরিক শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপির অজিত গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে সাতটি আর একটি আসনে। পাঁচ বছর আগের ফল থেকে প্রায় দু’ডজন আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট। যদিও বিজেপি শিবিরের দাবি, এ বার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে তারা।

ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রথম দফায় গত ১৩ নভেম্বর ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। বুধবার হবে বাকি ৩৮টিতে। সে রাজ্যে ভোটের প্রচারে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের নেতারা ধারাবাহিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’ বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির পাশাপাশি ‘জমি জিহাদে’ মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’। এ বারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে।

ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এ বার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট গড়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)। বিজেপি ৬৮, আজসু ১০, জেডিইউ দু’টি এবং এলজেপিআর একটি আসনে লড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (বরহেট), তাঁর স্ত্রী কল্পনা (গাঁডেয়), ভাই বসন্ত (দুমকা)। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দলের রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মরান্ডি (ধনওয়ার) এবং প্রাক্তন জেএমএম বিধায়ক তথা হেমন্তের বৌদি সীতা।

আরও পড়ুন
Advertisement